বাঙালীর শ্রেষ্ট উৎসব দুর্গাপূজা হতে হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাকি। অন্যান্যবারের মত এবারও বেশ কিছু ক্লাবে দুর্গাপূজার উদ্বোধন করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আজই ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে। আজ ‘চেতলা অগ্রণী’তে দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যে ৬ টা নাগাদ চক্ষুদান করলেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এ দিন বিকেল ৪টেয় নজরুল মঞ্চে দলীয় পত্রিকা ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রত্যেক বারের মত এইবছর করোনা আবহেও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন-সহ এক ঝাঁক নেতা-নেত্রীরা। চেতলা অগ্রণী’র দুর্গাপুজো মূলত ‘ফিরহাদ হাকিমের পুজো’ নামেই পরিচিত। সেখানে প্রত্যেক বারের মতো এ বারও প্রতিমার চক্ষুদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এবার করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্বতা মেনে চলা হচ্ছে। এবার র ‘চেতলা অগ্রণী’র পুজোর থিমও আলাদা হয়েছে, নেই তেমন জাকজমক। নাম দেওয়া হয়েছে দুঃসময়’। বাঁশের বিশেষ কাজ দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। পুজোর সব প্রস্তুতিই সারা হয়ে গিয়েছে। বাঁধা হয়েছে প্রতিমার সামনে অস্থায়ী মঞ্চও। আর তার উপরে দাঁড়িয়েই প্রতিমার চক্ষুদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে চক্ষুদান হয়ে গেলেও আজ থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হচ্ছে না। পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ চতুর্থীর দিন থেকে সকলের প্রবেশের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে।