ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষাতেই মর্তে আগমন ঘটবে মা দুর্গার। আর পুজো মানেই বাঙালি সেজে উঠতে চায় সোনার গয়নায়। তাই এবার সোনার প্রেমীদের কথা ভেবে গতকালের পর ফের আজ মঙ্গলবারও কমলো সোনার দাম।
চলতি বছর সোনার দাম কখনো ঊর্ধ্বমুখী তো কখনো নিম্নমুখী। মাঝখানে বেশ কয়েকদিন অত্যধিক হারে বেড়ে গিয়েছিল সোনার দাম। সোনার অত্যাধিক দামে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে ছিল ক্রেতাদের। কিভাবে সোনা কিভাবে দাম বৃদ্ধি হওয়াতে চিন্তায় পড়েছিল বিক্রেতারাও। যদিও সেসব চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ফের ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মুখে হাঁসি ফোটাতে পুজোর আগেই কমলো সোনার দাম। গত সেশনে একধাক্কায় অনেকটা দাম কমার মঙ্গলবারও পড়ল সোনার দর। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,চলতি বছরে সোনার দর ২৬ শতাংশ বেড়েছে।রাজনৈতিক এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত হিসেবে বিবেচিত হয় সোনা। ইউরোপের অনেক অংশে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে উর্ধ্বমুখী হয় সোনা। তবে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় পড়েছে ডলারের সূচক।
আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক মঙ্গলবার ঠিক কতটা কমলো সোনার দাম। বিশ্ব বাজারে রাতারাতি পতনের পর গত সেশনে সোনার দর ২.৪ শতাংশ বা ১,২০০ টাকা পড়েছিল। তবে, এদিন এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫০,৪০০ টাকা। যদিও,হলুদ ধাতুর দর বিশ্ব বাজারে কিছুটা মুখ তুলে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ব বাজারে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৯১৮.২ ডলার।
সোনা প্রেমীদের পাশাপাশি অভাব নেই রূপো প্রেমীদেরও। গত সেশনে অনেকটাই পড়েছিল রুপোর দর। তখন প্রতি কেজি রুপোর দর ৯.৩ শতাংশ কমেছিল। আর মঙ্গলবার ১০ গ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দাম ০.৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬১,০১১ টাকা।