আসামে দেখা গেল বিরল প্রজাতির বর্ণময় এই হাঁস, দুরন্ত গতিতে ভাইরাল ভিডিও
পাখির সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে যুগে যুগে কত কবি-সাহিত্যিকেরা কলম ধরেছেন, সৌন্দর্য্যের মোহিত হয়ে জন্ম নিয়েছে কবিতা। তবে এই হাসকে দেখলেও এমন কবিতা জন্ম নিতেই পারে অনেক কবির মনে। সারা শরীরে যেন তার রামধনু রঙ, রঙ তুলি দিয়ে যেন রঙবাহারি সৌন্দর্যে সেজে উঠেছে সে তার রূপ দেখলে চোখ ফেরানো দায়- হ্যা এক হাসের এমনই রূপে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা।
সম্প্রতি হঠাৎ এক বিরল প্রজাতির হাসের এর খোঁজ মিললো। সম্প্রতি আসামের তিনসুকিয়া জেলার মাগুরি মোটাপুং বিলে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই বিরল প্রজাতির মান্ডারিন হাসকে দেখা গেছে। যার ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সর্বশেষ 1902 সালে আসামের এক অংশে এই হাসটি দেখা গিয়েছিল তারপর এর প্রায় এক শতাব্দী পেরিয়ে গেছে আর কারোর নজরে আসেনি।
ট্যুর গাইড মাধব গোগই 4 ফেব্রুয়ারি প্রথম একে দেখতে পান। 2020 প্রাকৃতিক গ্যাসের কুপের বিস্ফোরণ হয়ে আক্রান্ত হয় এই অঞ্চল। তাই যখন ওখানের এক পাখি গাইড বিনন্দ হাতিবরুয়া জানতে পারেন এই পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে তখন প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি। এরপর যখন তিনি নিজের চোখে হাসটিকে দেখতে পান তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন।
আর খুশি হবেন নাই বা কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর হাস হিসেবে বিবেচিত ম্যান্ডারিন। 1758 সালে এক সুইডিশ উদ্ভিদবিদ ও প্রানীবিজ্ঞানী কার্ল লিনিয়াস প্রথম পাখিটিকে চিহ্নিত করেছিলেন। এমন বিরল সুন্দর পাখিটি খুব কম নজরে আসে। কমলা রঙের ডানা আর বিভিন্ন রঙের মেলা যেন হাসের শরীর জুড়ে ছেয়ে রয়েছে। হাসটির সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে সবাইকে।