দীর্ঘদিন ধরে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন চলায় বন্ধ ছিল বাস,ট্রেন, অফিস,আদালত সমস্ত কিছু। আনলক-১ ঘোষণার পর ধীরে ধীরে ধীরে চলতে শুরু করেছে সরকারি এবং বেসরকারি বাস। খুলে গিয়েছে অফিস, আদালত, কলকারখানা, শপিং মল। কিন্তু ট্রেন চালু হয়নি। বাস রাস্তায় নামলেও তা যথেষ্ট নয়। অফিসে যেতে গিয়ে বহু মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তাই বাংলাতেও থেকে লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেলমন্ত্রক। যদিও ইতিমধ্যেই ওয়েস্টার্ন ও সেন্ট্রাল রেল লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করেছে। এবার বাংলায় ট্রেন পরিসেবা চালু করতে চলেছে। ট্রেন চালু করার আগে স্টেশনগুলোতে কিছু কিছু নীয়মের পরিবর্তন করতে হবে বলে জানিয়েছে রেলমন্ত্রক।
রেলমন্ত্রক এর তরফ থেকে রেলের উচ্চপদস্থ অফিসারদের ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেদিকে নজর দিতে, প্রতিটি স্টেশন ও সার্কুলেটিং এরিয়ার ড্রয়িং করতে হবে। স্টেশনে সবথেকে বেশি কোন সময়ে যাত্রী ওঠানামা করে, স্টেশনে প্রতিদিন কত সংখ্যক সাবার্বান ট্রেন থামে, কতক্ষণ সময় অন্তর থামে, তার হিসাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেকে জানিয়ে দিতে হবে। অফিস টাইমে বেশি ভিড় হয় সেই কথা মাথায় রাখার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ট্রেন চলাচল এর কারণে যাতে করোনা সংক্রমিত না হয় তার জন্য কিছু ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে রেল কতৃপক্ষের তরফ থেকে। সেই কারণে, কোনও স্টেশনে দিনে কতসংখ্যক ট্রেন যাতায়াত করলে সব যাত্রীকে থার্মাল স্ক্রিনিং করা যাবে এবং সোশ্যাল ডিসটেন্সসিং বজায় রাখা যাবে, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। সবথেকে চিন্তার বিষয় হল হকারদের নিয়ে। প্রতিটা স্টেশনে বহু হকার ট্রেন যাত্রীদের খাবারদাবার সহ নানান সামগ্রী বিক্রি করেন। তাই তাদের স্টেশন থেকে সরিয়ে রাখাটাই বিরাট চ্যালেঞ্জ।