নিউজরাজ্য

লকডাউন দেশ! গৃহবন্দী বাঙ্গালীদের স্বাদ ফেরাতে অভিনব উদ্যোগ “মাছ ভাত”!

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া : কেউ দিচ্ছেন দুঃস্থ গরীবদের রান্না করা খাবার। আবার কোন সংস্থার লোকজন তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন রান্না করে খাওয়ার জন্য চাল ডাল আলু সহ বিভিন্ন জিনিস এর প্যাকেট। তবে সেইসব সামগ্রীর মধ্যে মূলত চাল ,ডাল ,তেল, নুন, আলু এই ধরনের জিনিসই সবথেকে বেশি । কিন্তু লকডাউনের  কারণে বাড়ি থেকে বসে থাকা সেই সব মানুষদের খাবারের রুচিরও তো বদল ঘটে। ভালো মন্দ কিছু একটা খাবার কার  না জাগে। বিশেষ করে মাছে ভাতে বাঙ্গালীর  ক্ষেত্রে এক পিস মাছ খাওয়ার ইচ্ছা তো জাগতেই পারে। আর সেই ইচ্ছের বিষয়টা অনুভব করতে পেরেছেন নদীয়ার আঠারো  আগস্ট পরিচালন কমিটির সদস্যরা।

রসনা প্রিয় বাঙালির রসনা তৃপ্তি মেটাতে আঠারো  আগস্ট পরিচালন সমিতির সদস্যরা দুস্থ গরীব মানুষদের চাল, ডাল, তেল, নুনের  সঙ্গে তুলে দিলেন পাঁচশ  গ্রাম করে বাটা মাছ। মাছ রান্না করার জন্য তুলে দিলেন মাছের ঝোলের মসলাও। মাছে ভাতে বাঙালির স্বাধ মেটানোর জন্য তারা দিলেন তিন কেজি করে ফাইন চাল, দু কেজি আলু, পাঁচশ  মুসুরির ডাল, পাঁচশ গ্রাম সরষের তেল, নুন, হলুদ, জিরেগুঁড়ো,  পাচফোরন, পাঁচশ বাটা মাছ, এবং সঙ্গে মাছের ঝোল রান্না করার মসলা। কৃষ্ণগঞ্জ থানার শিবনিবাস, হালদারপাড়া,  বাঘাযোতিন পল্লী(খাসপাড়া) সহ  ওই এলাকার নিতান্তই গরীব পরিবারের মানুষের হাতে এইসব খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন তারা । আগামী সোমবার চড়ক পূজো। তবে এবার লকডাউনের  কারণে অনেক জায়গাতেই বসবেনা চড়ক পূজোর মেলা।

শিবনিবাস মন্দিরের পাশে প্রতিবছর আঠারো আগস্ট পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে চড়ক পূজোর বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। যদিও করোনা এবার সেই মেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেছে। মেলার জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে থাকে, সেই টাকা খরচ করেই দুঃস্থ এবং নিতান্ত গরীব মানুষদের জন্য বিতরণ করলেন খাদ্য সামগ্রী। ওই সমিতির সদস্যরা অনুভব করেছেন, ঘরবন্দী বাঙালি মানুষেরা একই খাবার খেতে খেতে হয়তো নিজেদের মন খারাপ করে উঠতে পারেন। তাই তারা চাল ডাল তেল নুনের সঙ্গে মানুষের হাতে পৌঁছে দিলেন বাটা মাছ এবং মাছের ঝোল রান্না করার মসলা। ওই সমিতির লোকজন জানিয়েছেন, ‘ গৃহবন্দি  বাঙালিরা মাছ খেতে ভালোবাসেন। মাছে-ভাতে সেইসব বাঙালি যাতে   ভাত, ডাল, আলু ভাজা মাছের ঝোল দিয়ে খেতে পারেন তৃপ্তি  করে দুটো ভাত , সেই চিন্তা ভাবনা করেই  আমাদের এই উদ্যোগ। ইচ্ছে রয়েছে, আগামী দিনেও নিতান্তই গরীব মানুষদের কাছে এই ধরনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার।’

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles