দেবপ্রিয়া সরকার : সারা বিশ্বজুড়ে যে মারণ ভাইরাস করোনা বর্তমানে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন তা প্রতিরোধে এখনো কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্বের তাবড় তাবড় চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে করতে একমাত্র উপায় লকডাউন। এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিসটেন্স-ই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বেশ কিছু দেশ বর্তমান লকডাউন এর মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছে। আর এই লকডাউন কার্যকর করতে সাহায্য করছে পুলিশ প্রশাসন। ২৪×৭ চলছে পুলিশের টহলদারি। দেশের সুরক্ষায় সাধারণ মানুষের কাছে সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিতে একমাত্র ভরসা পুলিশ প্রশাসন।
প্রতিমুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে। অত্যন্ত জরুরী কালীন অবস্থায় ছাড়া বাইরে বেরোনো একেবারেই বন্ধ রয়েছে। দোকান হাট খোলা থাকলেও সেখানে রয়েছে পুলিশের কড়া নজর যাতে সেখানে কোনো জমায়েত তৈরি না হয়। দেশের এই কাজে নিজের কর্তব্য পালন করতে এক অভূতপূর্ব মানবিকতার পরিচয় দিলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। তিনি দেখালেন সবকিছুর আগে দেশের কাজ, তারপরে বাকি সব কিছু।
পুলিশ কনস্টেবলটি উত্তরপ্রদেশের বছর ২৫ এর রমাকান্ত নাগার। তিনি সদ্য এক কন্যার পিতা হয়েছেন। কন্যার বয়স ১৩ দিন। দেশের জন্য কর্তব্য পালন করতে গিয়ে এখনো দেখা হয়নি মেয়ের মুখ। যেটুকু দেখেছে তা স্মার্টফোনের মাধ্যমে। ডিউটি চলাকালীন স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে চোখ জলে ভরে উঠেছিল তার। কিন্তু ডিউটি ফেলে বাড়ি ফেরার কথা ভাবতে পারেনি তিনি। বাড়ি যাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে বলছেন, ‘আমার সহকর্মীরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তাই আমিও বাড়ি যাওয়ার কথা ভাবছি না।’ তার কথায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতে লকডাউন মিটে গেলে একেবারে বাড়ি ফিরবেন তিনি।