করোনা সংক্রমণ যে হারে ছড়াচ্ছে তাতে কলকাতাকে যথেষ্ঠ চিন্তার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে নতুন করে ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর আক্রান্ত ৩৮ জনের মধ্যে ৬৩ শতাংশই কলকাতার বাসিন্দা। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেশ কয়েকজন আছে আক্রান্তের তালিকায়, এমনটাই খবর বেসরকারি সূত্রে। নতুন আক্রান্তদের নিয়ে রাজ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬১ জন। ডেথ অডিট কমিটি সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও দু’জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এতে করে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্যের সরকারি পরিকাঠামো প্রতিদিন টেস্টের সংখ্যাকে এক হাজারে নিয়ে গেল স্বাস্থ্য দপ্তর। মার্চের শেষের দিকে হাওড়ার এক মহিলার শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। সপ্তাহ ২ আগে পর্যন্ত করোনা সংক্রমনের নিরিখে রাজ্যের শীর্ষস্থানে ছিল হাওড়া। ওই মহিলার শরীরে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরে একের পর এক আরো কয়েকজনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া। এরপরের এপ্রিলের শুরু থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমনের হার। সেই সময় রাজ্যে যত জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল তার মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল কলকাতার বাসিন্দা। তারপরে অবশ্য সেই ভাগ কমে ৫১ শতাংশতে নামে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত চিহ্নিতকরণের জন্য রাজ্য সরকার শনিবার ল্যাবে কাজের সময়সীমা দ্বিগুণ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। এর জন্য বাড়তি ডিউটি করতে আগ্রহী ল্যাব টেকনিশিয়ানদের মাসিক ৫,০০০ টাকা অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধি করার কথাও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগে প্রতিদিন ১,০০০ নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন কোন জেলা থেকে নমুনা আসবে তার জন্য একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হয় এদিন। রবিবার চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর শরীরে করোনা ধরা পড়লেন সেখানে চাঞ্চল্য ছড়ায়। রবিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক চিকিৎসকের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।