হঠাৎ করেই ছন্দপতন হলো আকাশের শুকতারার । বলিউডের অন্যতম উজ্জ্বল অভিনেতা ইরফান খান কিছুদিন আগে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যে মানুষটি মানর রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে টুইটারের জীবনের কথা লিখতেন, চূড়ান্ত বেঁচে থাকার ইচ্ছা যার ছিল, তিনি ক্যনসারে হেরে গেলেন।
তবে হারলেন না শিল্পী ইরফান। অভিনয় যে শিল্প তা প্রমান করেছিলেন তিনি। তাই সেই মানুষটি মৃত্যুর পরেও বারবার ফিরে আসছেন নানাভাবে চলে গিয়েও মানুষের মনে আজও অমলিন। তার শুন্যতা পূরন হবেনা কখনো। অভিনয় ছাড়াও তিনি সমাজের জন্য যা কাজ করে গেছেন তাতে তিনি একজন মানুষ হিসেবেও যে কতটা ভালো ছিলেন তা বলার অবকাশ রাখে না।
মহারাষ্ট্রের গ্রাম লগতপুরী , গ্রামে কোন সিনেমা হল নেই কিন্তু তারা 30 কিলোমিটার দূরে যান শুধুমাত্র ইরফান খানের ছবি দেখবেন বলে। কিন্তু কেন? কারণ ইরফান তাদের কাছে পর্দার হিরো নয় একজন প্রিয় মানুষ, রিয়েল লাইফ হিরো। এই গ্রামের মানুষের মনের মধ্যে ইরফানের নাম, ওই গ্রামের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী কৃতজ্ঞ ইরফানের কাছে, বহু বহু পরিবার উপকৃত হয়েছেন।
যখনই প্রয়োজন হয়েছে পড়ুয়াদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, বহু গরীব পরিবার উপকৃত হয়েছেন। তিনি আজ নেই কিন্তু পুরো গ্রামজুড়ে তারই স্মৃতি। তাইতো এই অবদানের কথা মাথায় রেখে গ্রামবাসী গুরুদক্ষিণা দিতে, শ্রদ্ধা জানাতে গ্রামের নতুন নাম রাখলেন হিরোচি ওয়াদি। এর বাংলা অর্থ হিরো প্রতিবেশী তাদের বক্তব্য “আমরা বরাবর ইরফানের প্রতিবেশী হয়ে থাকতে চাই। তার মতো মানুষ যেন প্রতিটা ঘরে জন্মায়”