অভিনেতা সোনু সুদ এখন আর অভিনেতা নন বরং তিনি গরীবের ভগবান রূপে দেশবাসীর মনে এক অন্য জায়গা করে নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে দেশবাসীর কঠিন সময়ে প্রথম দিন থেকেই সাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা সোনু। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা থেকে দুস্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া এমনকি অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসা করার জন্য আর্থিক সাহায্য সাধারণের পাশে ভর্সার এক ছাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা। কিছুদিন আগেই দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন সোনু সুদ। আর এবার কল্পতরু হয়ে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে মোবাইল টাওয়ার বসালেন অভিনেতা।
সোনু সুদ রিল নয় বরং রিয়েল নায়ক হয়ে উঠেছেন সকলের কাছে। যেকোনও সমস্যায় সাধারনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াতে দু বার ভাবেন না সোনু। বর্তমানে করোনা কাঁটায় শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ লেখাপড়া চলছে অনলাইনে। অনলাইনে পড়তে গেলে তো প্রয়োজন স্মার্টফোনের। কিন্তু আমাদের দেশে এরকম অনেক শিক্ষার্থীই আছে যাদের স্মার্টফোন কেনার মত সামর্থ্যটুকু নেই। তাহলে কিভাবে সম্ভব স্কুলের সাথে তাল মিলিয়ে পড়া কমপ্লিট করা? তবে, চিন্তা কিসের তাদের তো পাশে আছেন সোনু সুদ। কিছুদিন আগেই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার সুবিধার জন্য স্মার্টফোন তুলে দিয়েছিলেন অভিনেতা। শুধু স্মার্ট ফোন দিয়ে কি হবে প্রয়োজন পর্যাপ্ত টাওয়ারের। কপালে চিন্তার ভাঁজ? আর কিসের চিন্তা আছেই তো গরীবের ভগবান সোনু সুদ।
If a student is stopped from his right to study bec of the poor financial condition of his parent then imagine the state of mind of these parents.Request these financial institutions to bifurcate the dues to be paid in coming months, this will give them time & kids won’t suffer.
— sonu sood (@SonuSood) October 4, 2020
সমস্যার সমাধানে ইন্দাস টাওয়ার ও এয়ারটেলের সহযোগিতায় চণ্ডীগড়ের মোরনি এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ার বসানোর ব্যবস্থা করেছেন সোনু সুদ। তার এই সাহায্যে বহু শিক্ষার্থীরা প্রশংসা করেছেন অভিনেতার। সোনু সুদের প্রশংসাযোগ্য এই কাজে খুশি হয়ে ইন্দাস টাওয়ারের পঞ্জাব-হরিয়ানা বিভাগের সিইও গগন কাপুর জানান, তিনি খুব খুশি এয়ারটেল এবং করণ গিলহোত্রার সঙ্গে এই প্রোজেক্টে যুক্ত হতে পেরে।
At the same time, the parents of these kids should also support their school & teachers as it’s a challenging time for them too. Just..buy time.
Moral of the story is no kid should be stopped from their class bec of the inability of a parent to pay the fees.
Together we CAN ?— sonu sood (@SonuSood) October 4, 2020
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে সোনু সুদ টুইট করে লেখেন, ‘আমি মনে করি চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। সুদৃঢ় ভবিষ্যত গড়ার ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার পাওয়া উচিত। কারণ শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত। শিশুদের আর গাছে চড়ে মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন আনতে হবে না। প্রত্যন্ত গ্রামে মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজে যুক্ত থাকতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। শিশুদের অভিভাবকদেরও তাদের স্কুল এবং শিক্ষকদের সমর্থন করা উচিত। কারণ এটি সবার জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সময়। তাঁদের শিক্ষার পথ স্কুলের ফিস না দেওয়ার জন্য বন্ধ করা উচিত নয়’।