ঐশ্বর্যকে নিয়ে নির্জন দ্বীপে যেতে চেয়েছিলেন অমিতাভ, বচ্চন পরিবারের গোপন তথ্য ফাঁস করলেন জয়া
সালটা ২০০৭। ওই বছরেই বচ্চন পরিবারের পুত্র অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন এক সময়ের বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নায়িকা তথা প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড ঐশ্বর্য রায়। প্রায় ২৩ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছেন এই তারকা দম্পতি। অভিষেকের সঙ্গে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন ঐশ্বর্য। এমনকি বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হওয়ার পর রুপোলি পর্দা থেকে নিজেকে অনেকটাই দূরে সরিয়ে নিয়েছেন নীল চোখ সুন্দরী। আজকাল আর খুব একটা বেশি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় না তাঁকে।
নিজের লুক এবং দুর্ধর্ষ অভিনয়ের কারণে সর্বদাই পেজ থ্রিয়ের পাতায় জ্বল জ্বল করে ঐশ্বর্য রায়ের নাম। তবে বিগত ২০২৩ সাল থেকে অবশ্য কারণটা হয়েছে অন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অভিষেক এবং ঐশ্বর্যের সম্পর্কটা নাকি আর আগের মতো নেই। তবে কেবলমাত্র অভিষেক নয়, গোটা বচ্চন পরিবারের সঙ্গেই নাকি দূরত্ব বজায় রেখেছেন অভিনেত্রী। যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি বচ্চন পরিবারের কোনো সদস্য কিংবা ঐশ্বর্য, অভিষেক। তবে নেট পাড়ার বাসিন্দাদের মতে, বহুদিন আগেই ঐশ্বর্য বচ্চন পরিবার ছেড়ে থাকছেন মা বৃন্দা রাই এর বাড়িতে। আর এসবের মাঝেই এবার মুখ খুললেন জয়া বচ্চন। ফাঁস করলেন বৌমা ঐশ্বর্যের গোপন কথা।
একটা সময় এক টকশোতে হাজির হয়ে বলিউড শাহেনশা জানিয়েছিলেন নির্জন কোনো দ্বীপে যদি যেতে হয় তাহলে তিনি সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন ঐশ্বর্যকে। যদিও সে সময় অভিষেকের সঙ্গে বিয়ে হয়নি ঐশ্বর্যর। তবে অভিষেকের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েই ঐশ্বর্য রায়ের শাশুড়ি তথা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নায়িকা জয়া বচ্চন বৌমাকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
মাত্র ২১ বছর বয়সে একমাত্র কন্যা শ্বেতা বচ্চনের বিয়ে দিয়েছিলেন অমিতাভ। বাড়ি থেকে কন্যা বিদায় নেওয়ার পরেই ঘর হয়ে গিয়েছিল ফাঁকা। আর সে কারণেই ছেলের বিয়েও তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন তারকা দম্পতি। এই প্রসঙ্গে একবার সংবাদ মাধ্যমকে জয়া জানিয়েছিলেন, ‘মেয়ে বিয়ে করে চলে যাওয়ার পর ঘর একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। ঠিক তখনই ঐশ্বর্য আসে আমাদের বাড়ির পুত্রবধু হয়ে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সে বাড়ির মেয়ে হয়ে উঠেছিল। ঐশ্বর্য নিজেই শ্বেতার জায়গা নিয়ে নিয়েছিল। তাকে দেখলেই অমিতাভের চোখ চিক চিক করে উঠতো। মনে করতেন হয়তো শ্বেতা এসেছে’। যদিও ননদের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেই ভালো নয় ঐশ্বর্যর। অন্তত এমনটাই শোনা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কান পাতলে।
