সংগীত পরিচালক বা সুরকার হয়েও যে রীতিমতো প্রথম সারির তারকা হওয়া যায় বা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা যায় তার প্রমান এ আর রহমান। ভারতের চলচ্চিত্র জগতে প্রেমিক তারকাদের তারকা। আজ তার জীবনের নানান অজানা তথ্য তুলে ধরা হল।
1976 সালে 6 জানুয়ারী বর্তমান এ আর রহমান জন্মেছিলেন এ এস দিলীপ কুমার নামে। বাবা তামিল সঙ্গীত পরিচালক আর কে শেখর মা গৃহবধূ কস্তুরী দেবী। রহমানের বাবা মোটামুটি নামী সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন কিন্তু বাবার কাছে সঙ্গে শিক্ষা নেওয়ার খুব বেশি সুযোগ পাননি কারণ তিনি যখন ন বছর বয়সী তখন বাবাকে হারান।
একদিকে অভাব সংসার আর অপরদিকে স্কুল দুই নৌকায় পা রেখে চলা সম্ভব হলো না পড়াশোনা ইতি টানতে হল কিশোর দিলীপকে। স্কুল ছেড়ে নিজেকে উৎসর্গ করলেন সংগীতের পায়ে। বাদ্যযন্ত্রের আগ্রহ থাকায় 11 বছর বয়স থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন তালিম নেন প্রখ্যাত শিল্পী মাস্টার ধনরাজ এর কাছে। নিজস্ব গানের দল ছাড়াও বিভিন্ন ব্যান্ডে কিবোর্ড বাজাতেন। কিন্তু অভাব পিছু ছাড়েনি।
সমস্যা সুরাহার খোঁজে মনের শান্তি পেতে দিলিপের ধর্মপ্রাণ মা বিভিন্ন ধর্মস্থানে ছুটতেন, জীবনের এমনই এক কঠিন সময়ে তারা সুফিবাদের সংস্পর্শে আসেন। পূর্ব পরিচিত এক সুফি সাধক তাদের পাশে দাঁড়ান। 1986 সালে কস্তুরী তাদের সন্তানদের নিয়ে ধর্মান্তরিত হন নতুন নাম হয় করিমা। আর দিলীপের পছন্দ হয় আব্দুল রহমান নামটি। এর সাথে তার মা আল্লারাখা কথাটা রাখতে বললেন যার অর্থ আল্লাহ যাকে রক্ষা করেন। সময়ের সাথে সেই তরুণ দিকপাল হয়ে উঠলেন এবং তার নামটি সংক্ষিপ্ত হলো এ আর রহমান।
তবে সব ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি সম্মান এখনো তার জীবনের মূলমন্ত্র। তার সুরে বারবার ফিরে এসেছে সুফিগানের প্রভাব। এরপর 1995 সালে সায়রার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। গত আড়াই দশক ধরেই স্বামীর পাশে থেকে তাদের যাত্রাপথের নৌকার হাল ধরে রেখেছেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে তাদের আনন্দ।