বর্তমানে প্রতিটি দিন করোনা আতঙ্কে ভুগছে দেশবাসী। তবে, সংক্রমণ এড়াতে কোনরকম ফাঁক রাখতে চাইছেনা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যেই Favipiravir-এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আশাজনক ফল মিলেছে। আর এরই মাঝে দেশবাসীর জন্য সুখবর। আরও সস্তা হলো Favipiravir। মাত্র ৩৯ টাকায় মিলবে Favipiravir।
একদিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে লকডাউনের জেরে আর্থিক অনটন, সমস্যায় পড়ছে অনেকেই। কিন্তু FabiFlu সাহায্যে করোনা রোগীর চিকিৎসার খরচ ৯,১৫০ টাকা। এর সঙ্গে চিকিৎসার অন্যান্য আনুসাঙ্গিক খরচও রয়েছে। আর এরই মাঝে জেনবারক্ট ফার্মার তৈরি Favipiravir-এর জেরেরিক ওষুধ Favivent-এর ২০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেটের সাহায্যে করোনা রোগীর চিকিৎসার খরচ হতে পারে ৪,৭৫৮ টাকা। সাধারণের কথা ভেবে জেনবারক্ট ফার্মার তৈরি Favipiravir-এর জেরেরিক ওষুধ Favivent-এর সাহায্যে করোনা রোগীর চিকিৎসার খরচ এক ধাক্কায় প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়ে গেল।
গ্লেনমার্ক ফার্মাকিউটিক্যালসের গবেষকদের দাবি Favipiravir-এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আশাপূর্ণ ফল মিলেছে। অন্যদিকে ১৫০ জন করোনা রোগীর উপর ট্রায়াল চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ভাইরাসে আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে এই ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী। তারপরই ওষুধের দাম সস্তা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্লেনমার্ক ফার্মাকিউটিক্যালস ছাড়াও ভারতে Favipiravir তৈরি করছে আরও দু’-একটি সংস্থা। এদের মধ্যে রয়েছে জেনবারক্ট ফার্মাকিউটিক্যাল ও ব্রিনটন ফার্মাসিউটিক্যালস।
উল্লেখ্য,গ্লেনমার্কের তৈরি Favipiravir-এর জেরেরিক ওষুধ FabiFlu-এর এক একটি ট্যাবলেটের দাম ছিল ১০৩ টাকা।
যা বর্তমানে ৭৫ টাকা প্রতি ট্যাবলেট। ব্রিনটন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি Favipiravir-এর জেরেরিক ওষুধ Favitonএর এক একটি ট্যাবলেটের দাম ৫৯ টাকা। কিন্তু Favipiravir-এর জেরেরিক ওষুধ ভারতের বাজারে আনল জেনবারক্ট ফার্মাকিউটিক্যালস। যা অন্যান্য ওষুধগুলি তুলনায় অনেকটাই সস্তা।