চরম বিপাকে সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্ধবি রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্ত মৃত্যু রহস্যের তদন্তে নেমে ড্রাগ বা নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের গন্ধ পায় ইডি। আর সেই মাদকচক্রে নাম জড়িয়েছে সুশান্ত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই সৌভিক সহ আরও অনেকের। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসারদের জেরার চাপে দিদির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তী। আর এরই মাঝে ‘গ্রেফতারির জন্য প্রস্তুত অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী’, রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডের বিস্ফোরক মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা।
রবিবার ভোর ৬.৩০টা নাগাদ NCB-র গোয়েন্দারা হানা দেয় বর্তমানের চর্চিত অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে। সূত্রের খবর, রিয়া চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে মিলেছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য। আর মনে করা হচ্ছে সেই তথ্যের উপর ভর করেই রিয়া চক্রবর্তী হতে পারেন আটক, এমনকি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না গ্রেফতারির আশঙ্কাও। এদিন রিয়ার বাড়ি তল্লাশির পরে ১০.৩০-র মধ্যে NCB দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় অভিনেত্রীকে। নির্দেশ অনুযায়ী ঠিক সময়ে NCB দফতরে হাজির হন রিয়া।
অন্যদিকে, রিয়া NCB-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরেই তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে এক লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে জানান, ‘রিয়া চক্রবর্তী গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত। যদি কাউকে ভালবাসা অপরাধ হয়, তাহলে সেই অপরাধের খেসারত তাঁকে দিতে হবে। রিয়া নিরপরাধ, তাই ED, CBI, NCB-র মতো তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা একযোগে তদন্ত করলে, এখনও পর্যন্ত কোনও আদালতের দ্বারস্থ হয়নি। এমনকি কোনও আগাম জামিনের আবেদন জানায়নি’। এদিকে NCB সূত্রে খবর, এদিন শৌভিক এবং স্যামুয়েলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে রিয়াকে। এমনকি দীপেশকে সকলের সঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারেন গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত,এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী শুক্রবার একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯ টা নাগাদ মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে সৌভিক চক্রবর্তী স্বীকার করেছে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের বাড়িতে রিয়ার নির্দেশেই আনা হত মাদক। আর সেই ড্রাগ কেনা হত স্যামুয়েল মিরান্ডার মাধ্যমেই।সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি।
শনিবার শৌভিক এবং স্যামুয়েল-সহ বাকিদের আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্যামুয়েল মিরান্ডা ও শৌভিক চক্রবর্তীকে এনসিবি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিকে, মাদক-যোগে শনিবার সন্ধ্যায় সুশান্তের পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেফতার করে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। শুক্রবার রাতে NCB দফতরে আনা হয় দীপেশকে।