কথায় বলে লজ্জা নারীর ভূষণ। অনেক সময় নারীদের পোশাক নিয়েও কটু কথা বলতেও ছাড়েনা সমাজের তথাকথিত কিছু সমালোচক। তবে,সেসব কথিত কথাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের পরনের শাড়ি খুলে দুই যুবকের প্রাণ রক্ষা করলেন তিন নারী। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর পেরাম্বালুর জেলার কোট্টারি বাঁধে। কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে অন্যের জীবন বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ে নজির গড়লেন তিন মহিলা।
জানা যাচ্ছে, ১২ জন যুবক কাছাকাছি সিরুভাচ্চুর গ্রামের থেকে কোট্টারি গ্রামে ক্রিকেট খেলতে আসে। তারা ক্রিকেট খেলে যথারীতি প্রচণ্ড গরমে ঘেমে যায়। আর তাই খেলা হয়ে যাওয়ার পর তারা স্নান করতে যায় কোট্টারি বাঁধের জলে। আর যত বিপত্তি সেখানেই। এই তিন মহিলা হঠাৎই লক্ষ্য করেন ওই দুই যুবক আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে।
ওই মহিলাদের দাবি, সেখানে স্নান করতে তারা এই যুবকদের বারণ করেছিলেন । কিন্তু তারা শোনেনি। তারা দেখতে পান চারজন যুবক হোড়কে এখানে পড়ে যান। চোখের সামনে চারটের তরতাজা প্রাণ ডুবে যাচ্ছে তা দেখে তা ওই মহিলার নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। কি করবে বুঝতে না পেরে তারা তাদের পরনের শাড়ি খুলে নিজেদের গা থেকে শাড়ী খুলে ফেলে জলের মধ্যে নাড়াতে থাকেন। সেই যুবকদের বাঁচান। তারা জানান তারা দুজন যুবককে বাঁচাতে পেরেছেন। তারা হলেন কার্তিক এবং সেন্থিলভেলান।কিন্তু অন্য বাকি দুজন জলের তোড়ে ভেসে যান তাঁদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তারা হলেন পবিত্রান এবং রঞ্জিত। জানা যাচ্ছে এরা দুজনেই ছিলেন হবু ডাক্তার।
তিন মহিলা আরও জানিয়েছেন তারা যখন কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তখন ওই একদল যুবককে তারা দেখতে পান। খেলা হয়ে যাওয়ার পরে তারা কোট্টারি বাঁধের জলে স্নান করতে যায়। কিন্তু কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে বাঁধের জল প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি ফুট পর্যন্ত উঠে যায়। যার ফলে ঘটে যায় চরম বিপত্তি। তবে,নিজেদের পরনের শাড়ি খুলে ওই দুই যুবককে বাঁচিয়ে এক নজির গড়েছেন ওই তিন মহিলা।