পায়েল গাঙ্গুলি: লাদাখ সীমান্তে ভারত চিন সংঘর্ষের পর যেন আঁটোসাঁটো হয়ে পথে নেমেছে ভারত। রাখতে চাইছে না কোনরকম ফাঁক। আর এবার যেকোনো পরিস্থিতিতে যে কোনো সময়ে সতর্ক থাকতে হবে বায়ু সেনা কমান্ডারদের বুধবার এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নয়াদিল্লিতে বায়ুসেনার সদর দফতর বায়ু ভবনে বায়ু সেনাদের প্রশংসা করার পরই জল্পনা উসকে তিনি বলেন ‘বায়ুসেনার কমান্ডারদের যেকোনও পরিস্থিতিতে যেকোনো মুহূর্তের জন্য সতর্ক থাকতে হবে, তৈরি থাকতে হবে। এমন পরিস্থিতিও আসতে পারে যখন খুব কম সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সারতে হবে। সেইক্ষেত্রে হাতে বিশেষ সময় হয়তো পাওয়া যাবে না’।
সূত্রের খবর শুধু দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্ব প্রান্ত,
লাদাখ নয়, চিনের সকল সীমান্তেই নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথের এই বক্তব্যই জল্পনা আরও উসকে দিচ্ছে। তাহলে কি নতুন করে চিনের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে ভারত? অনেকের মনেই উঠছে সে প্রশ্ন। ফিঙ্গারস এলাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব অব্যাহত। ওই এলাকা চীনা বাহিনীর একরোখা স্বভাবের জন্য মিলছে না কোনো সমাধান সূত্র। এই বিষয়ে কি ভাবছে ভারত, তা অবশ্য সময় বলবে। তবে, অন্যদিকে জানা যাচ্ছে রাফায়েল ফাইটার জেট মোতায়েন করা হতে পারে। জুলাই মাসের শেষেই বায়ুসেনার হাতে এসে পৌঁছাতে পারে কমপক্ষে ৩৬টি রাফায়েল ফাইটার জেট।
পাশাপাশি বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস বাদোরিয়া সাফ জানান, ‘কেন্দ্রের তরফ থেকে যত কম সময়ই নোটিশ দেয়া হোক না কেন বায়ুসেনারা তৈরি। বায়ুসেনা সব রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত’। অন্যদিকে দেশজুড়ে জাকিয়ে রাজ করছে অদৃশ্য ভাইরাস করোনা। করোনা সংক্রমণ রুখতে বায়ুসেনাদের অবদান তা বলাই বাহুল্য। সেই পরিস্থিতির কথা টেনে সেনাদের প্রশংসা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলাতেও যেভাবে বায়ুসেনা কাজ করছে, তা অভূতপূর্ব ।