বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের মুখে এবার শোনা গেল ভুল সংশোধনের বার্তা। সিঙ্গুরের জমিতে শিল্প করতে না দেওয়া যে কত বড় ভুল ছিল, তা তিনি অনুভব করতে পারছেন এখন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৎকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরের সদস্য মুকুল রায় সিঙ্গুরের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু আজ তাঁর বক্তব্য, সিঙ্গুরের জমিতে শিল্প করতে না দেওয়া প্রকৃতই ঐতিহাসিক ভুল।
এদিন নন্দীগ্রামের সভায় সিঙ্গুর প্রসঙ্গ টেনে মুকুল রায় বলেন, “বারবারই মনে হয় সিঙ্গুরের জমিতে টাটাকে ন্যানো কারখানা করতে না দিয়ে যুব সম্প্রদায়ের প্রতি অন্যায় করেছি আমরা। সেই ভুল সংশোধনের এবার সময় এসেছে।” বিজেপিতে যোগদানের পর বেশ কয়েকবার মুকুল রায়ের মুখে শোনা যাচ্ছে সিঙ্গুর এবং টাটার উল্লেখ। তিনি আরো বলেন, “সিঙ্গুরে পা দিলেই পাপবোধ হয়। যেভাবে সিঙ্গুর থেকে টাটাকে তাড়ানো হয়েছে, তাতে বাংলায় শিল্পের পথ অবরুদ্ধ হয়েছে। এবং আজ কারখানা হলে বহু মানুষ বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের বেকারত্বের অবসান ঘটতো, কিন্তু তা না করতে দেওয়ার জন্য আজও আফসোস রয়ে যাবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে তৎকালীন বাম সরকার টাটা মোটরস-কে সিঙ্গুরের কারখানা করতে জমি দেয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের জেরে অবশেষে ২০০৮ সালে পাততাড়ি গুটিয়ে টাটা সেই ন্যানো কারখানা স্থানান্তরিত করে গুজরাটের সানন্দে। সেই আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য সহযোগী ছিলেন মুকুল রায়। আজ তিনি সেই আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগী হওয়ার জন্য রীতিমতো অনুতপ্ত।
দিন কয়েক আগে সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজ স্থাপনের প্রকল্প ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। মুকুল রায় জানান, “তিনি বুঝলেন এতদিনে, ও জমি চাষের জমি নয়। অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিজ কথাটা অধিকাংশ মানুষই বোঝেন না। ‘ইন্ডাস্ট্রি’ শব্দটি যোগ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা খুব সহজ, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। সিঙ্গুরে নতুন শিল্প গড়বে নয়া বিজেপি সরকার।”