গালওয়ানে চিন সেনা প্রত্যাহার করলেও, প্যাংগং সীমান্তে এই চারটি এলাকা নিয়ে চিন্তিত ভারত
কয়েক দশক পর আবারো শুরু হয়েছে ভারত-চীন সংঘর্ষ। তবে আর ঠান্ডা লড়াই নয় এবার প্রকাশ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে আক্রমণ করেছে চীন। ভারতের তরফে জানানো হয়েছিল চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটানোর একটাই রাস্তা। ভারতের সীমান্ত জুড়ে যে নতুন নির্মাণ কাজ করছে চীন সেগুলিকে বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে গালওয়ানে একাধিক জায়গায় চীনা সেনা পিছু হটলেও জট রয়ে গেছে প্যাংগং লেক এর কাছে থাকা ফিংগার পয়েন্ট নিয়ে। সূত্রের মতে প্যাংগং লেক এলাকায় ফিঙ্গার পয়েন্ট গুলি থেকে চীনা সেনা সরানোর প্রশ্নে আগামী দিনে বেজিংয়ের সঙ্গে প্রবল দরকষাকষি হতে চলেছে বলে মনে করছেন সেনা ও কূটনীতিকরা।
সেনা সূত্রের খবর গত রবিবার রাত থেকে গালওয়ান উপত্যকার পেট্রলিঙ পয়েন্ট 14 থেকে সেনাও তাবুক ওঠাতে শুরু করে একই সাথে হটস্প্রিং, গোগরা থেকেও পিছু হটা শুরু করে চিন। আজ সেনা সূত্রে বলা হয়েছে হটস্প্রিং এলাকায় পেট্রোলিং পয়েন্ট 15 এর কাছে দুই সেনায় সরানোর কাজ শেষ করেছে। যার অর্থ দু’দেশই প্রায় দুই কিলোমিটারের বেশি পিছিয়ে মাঝে বাফার জোন সৃষ্টি করেছে। ওই বাফার জোনে কিভাবে টহলদারি হবে তা ঠিক হবে আগামী সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে।
এছাড়াও গোখরা এলাকায় থাকা 17-এ পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে উভয় বাহিনী। যদিওবা প্রাক্তন সেনা কর্তাদের মতে চীনা সেনা সীমানা পেরিয়ে ভারতের জমিতে বেশ কয়েক কিলোমিটার ঢুকে এসে ঘাঁটি বানিয়েছিল। দেখতে হবে সেই অধিকৃত জমির ছেড়ে তারা সীমানা পেরিয়ে নিজেদের এলাকায় ফিরে গেছে কিনা। 4 মে-র আগেকার স্থিতাবস্থা যদি ফিরে আসে তবেই সাফল্য বলে দাবি করা যাবে।
গালওয়ানে চিনা সেনার পিছিয়ে যাওয়া নয়াদিল্লিকে আপাত স্বস্তি দিলেও প্যাংগং লেক এর কাছে ফিঙ্গার 4 থেকে 8 পর্যন্ত জাঁকিয়ে বসে রয়েছে চিনা সেনা। অন্যান্য ফিংগার থেকেও আগের চেয়ে সাঁজোয়া গাড়ি ও তাবুর সংখ্যা সংখ্যা কমলেও এখনই সেই এলাকা থেকে চীনা সেনা সরানো হচ্ছে বলে মানতে নারাজ ভারতীয় সেনা। ভারতীয় সেনাদের বক্তব্য যতক্ষণ না সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণ হচ্ছে ততক্ষণ কোনোভাবেই সেনা প্রত্যাহার বলা যায় না। সরকারের দাবি এবার প্রয়োজনে ফিঙ্গার এলাকাগুলি থেকে চীনিসেনা সরানোর জন্য চাপ বাড়াবে ভারত।