করোনার বাজারে অত্যাধুনিক হ্যান্ডগ্লাভস বানিয়ে সংবাদ শিরোনামে শান্তিপুরের শঙ্খ দে। শান্তিপুরের লক্ষীতলা মুচিপাড়া স্ট্রিটের বাসিন্দা বর্তমানে কল্যানীতে জে আই এস কলেজের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রথম বর্ষের ছাত্র৷ ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর অসীম আগ্রহ৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিজ্ঞান ভিত্তিক মডেল বানিয়ে সে বিজ্ঞানকর্মীদের সমীহ আদায় করে নিয়েছে৷ করোনার বাজারে যখন হ্যান্ডগ্লাভস এর চাহিদা তুঙ্গে ঠিক সেই সময়ে কল্যানির ..জে এই এস কলেজে অফ ইঞ্জিনিযারিং, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডক্টর বিশ্বরূপ নিয়োগী র সাথে ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে সহযোগিতায় অত্যাধুনিক মানের হ্যান্ডগ্লাভস বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে শঙ্খ৷
বাজারে সাধারণত যে হ্যান্ডগ্লাভস পাওয়া যায় সেগুলি হয় একবার ব্যবহারযোগ্য, তাই খরচের পরিমাণ বেশি হতো, তার থেকেও বড় কথা একবার গ্লাভস পরা হাতে স্যানিটাইজ করার পর স্পর্শকৃত স্থানটি স্যানিটাইজ হয়ে যাচ্ছে তাই খরচ বাঁচছে বেশ খানিকটা৷ শঙ্খর বানানো গ্লাভসের মধ্যে থাকবে স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা৷ অর্থাৎ গ্লাভসের মধ্যে পাইপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট মাত্রার অ্যালকোহল৷ যা দিয়ে ওই স্থানে কাজ করবে স্যানিটাইজারের৷ অত্যাধুনিক মানের হ্যান্ডগ্লাভস বানিয়ে ইতিমধ্যেই একটি সংস্থা থেকে 1000 ডলারের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন শঙ্খ৷ শঙ্খ জানিয়েছে যে, “এবারে তাঁর বানানো হ্যান্ডগ্লাভস বাজারজাত করার জন্য পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছি, সেটা উৎপাদনে সরকারি অথবা বড় কোন সংস্থা আর্থিক সহযোগিতার অপেক্ষায় রয়েছি। ধন্যবাদ জানাই যারা প্রথম আমার এ প্রচেষ্টা সংবাদ মাধ্যমে উপস্থাপিত করেছিলেন।”
মা কৃষ্ণা দে জানান “ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রিক্যাল সরঞ্জাম খুলে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় বিরক্ত হতাম প্রথম প্রথম। এর আগেও বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে সুনাম অর্জন করলেও, এই প্রথম সন্তানের সাম্মানিক অর্থ পেয়ে , খুব ভালো লাগছে।” শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রঘুনাথ কর্মকার জানান ” ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞানচেতনা বাড়ানো এবং শংঙ্খর মতো অনেক প্রতিভার বিকাশ হয়েছে আমাদের ক্লাব থেকে। তাই অন্য সদস্যদের অনুপ্রেরণা বাড়লো অনেকটাই।”