বয়স হয়ে গেলে শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা অনেক কিছু বারন করে দেন খেতে। বয়স যতই বাড়ে সুগার প্রেসার সবকিছুই আঁকড়ে ধরে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বয়স বেড়েছে বিগ বি- র। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক রেস্ট্রিকশন অমিতাভ বচ্চনের জীবনেও। সেই রেস্ট্রিকশনের জেরে নাজেহাল সেও। হাতে মিষ্টি পেটে খিদে কিন্তু স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাওয়া বারণ দুঃখে কষ্টে একেবারে ভেঙে পড়লেন অভিনেতা।
বরাবরই ক্যামেরার সামনে থাকতে ভালবাসেন বিগ বি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুটিং ফ্লোরে সময় কাটে তাঁর। নিখাদ ভালবাসা না থাকলে এত বছর ধরে একই কাজ ক্লান্তিহীনভাবে করা সম্ভব নয়। তবে ভালবাসার জন্য ত্যাগও স্বীকার করতে হয়। আবার অত্যাচারও সহ্য করতে হয়। সেই অত্যাচারের কাহিনিই শোনালেন অমিতাভ বচ্চন নিজের ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার প্রোফাইলে ছবি শেয়ার করে চেপে না রেখে খোলসা করে মনের দুঃখের কথা জানালেন বিগ বি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করেছেন বিগ বি। যেখানে অভিনেতার দু হাতে মিষ্টি। অমিতাভ বচ্চনকে বলা হয়েছে এমন এক্সপ্রেশন দিতে হবে যাতে দেখে মনে হয় তিনি এখুনি মিষ্টি খেয়েছেন, আর মনটা তৃপ্তি ভরে গিয়েছে। যেমন বলা তেমন কাজ। এক্সপ্রেশন তো পার্ফেক্ট ছিল বিগ-বির। কিন্তু মন যে ভারী খারাপ। হাতে মিষ্টি, এক্সপ্রেশন দিতে হচ্ছে মিষ্টি খাওয়ার কিন্তু বাস্তবে তিনি এক কণা মিষ্টিও মুখ দিতে পারেননি। এ যে ভারি কষ্টের তা বলাই বাহুল্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে তার এই কষ্ট ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা।
T 3757 – जब मीठा खाना छोड़ दिया तब shoot पे , हाथ में पकड़ा दिया rasgulla और gulab jamun और कहा ऐसा expression देना , की अभी अभी खा के बहुत स्वादिष्ट लगा है !!
इससे बड़ा torture life में नहीं हो सकता …. ????? pic.twitter.com/p2lBn1MdBv— Amitabh Bachchan (@SrBachchan) December 18, 2020
অমিতাভ বচ্চনকে বাংলার জামাইবাবু বলা হয়। কারণ তার কর্মজীবন শুরুও করেছিলেন এখানেই। বিয়েও করেছেন বঙ্গতনয়াকেই। কাজেই বাংলা সংস্কৃতি এবং বাঙালির সঙ্গে তাঁর যে একটা আত্মিক টান থাকবেই, তা হলফ করে বলা যায়। তিনি কলকাতায় আসলে আগে মিষ্টি খেতেনই খেতেন। যদিও বয়সের ভারে বর্তমানে সে সব অতীত। কিন্তু বিগ বি-র মনটা যে আজও বাঙালিয়ানাতেই ভরপুর তাই আর পাঁচটা পেটুক বাঙালির মতই মিষ্টি দেখে জিভে জল আসে অমিতাভ বচ্চনেরও।