ভারত-চিন সীমান্তে বেড়েই চলেছে উত্তেজনা! ৬ ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকের পরেও লাদাখে ভারতীয় জমি ছাড়ার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি চিনা সেনার মধ্যে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভারতীয় এলাকায় যেভাবে চিনা সেনা ঘাঁটি গেড়েছে, তাদের সরাতে স্পেশাল ফোর্সই নামাতে হবে ভারতকে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এবার এগিয়ে এল ভারতীয় বায়ু সেনা।
জানা গিয়েছে, আজ শ্রীনগরে বায়ুসেনা ক্যাম্প পরিদর্শনে পৌঁছন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া। শ্রীনগর ছাড়াও তিনি লেহতে বায়ুসেনার ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। সংবাদসংস্থা ANI এর তরফে জানানো হয়েছে, বায়ুসেনা প্রধান তার ২ দিনের সফরে শ্রীনগর ও লেহ ঘুরে দেখেছেন। সেই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, চিনের মোকাবিলা করতে ইতোমধ্যেই শ্রীনগর ও লেহতে বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা। এদিকে, বৃহস্পতিবারেই ১২টি সুখোই ও ২১টি মিগ ২৯ যুদ্ধবিমানের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে প্রস্তাব দিয়েছে বায়ুসেনা। যা কিনতে প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা খরচ হবে ভারতের। এই ‘সুখোই’ হলো ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।
প্রসঙ্গত, সোমবার গলওয়ান উপত্যকায় চিন ও ভারতীয় সেনার সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। সেই সঙ্গে এক কমান্ডার সহ ৪৩ জন চিনা সেনাকে খতম করেছে ভারতীয় জওয়ানরা। এদিকে সোমবার রাতের দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর কয়েকজন ভারতীয় সেনার নিখোঁজের খবর এসেছিলো। এরপর তিনদিন কেটে যায়, তারপর গতকাল রাতে ১০ ভারতীয় জওয়ানকে মুক্তি দিয়েছে চিনা সেনা। এই পরিস্থিতিতে চিনা সেনাকে রুখতে যুদ্ধবিমানেই যে একমাত্র অস্ত্র, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও অনেকেই মনে করছেন, স্পেশাল ফোর্স কিংবা যুদ্ধবিমান হামলার অর্থ হলো দুই দেশের মধ্যে অঘোষিত যুদ্ধ। যা এই পরিস্থিতিতে কখনোই চাইবে না ভারত ও চিন।