বর্তমানে বি টাউনের হেভি ওয়েট গায়িকাদের মধ্যে একজন নেহা কাক্কর। নেহার গান থেকে তার ব্যাক্তিগত জীবন সবটাই এখন চর্চিত বিষয়। গত বছর অক্টোবরেই রোহনপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন নেহা কক্কর। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। কিন্ত একি এরই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নেহা। ক্রমাগত নাকি বেড়েই চলেছে নেহার স্বামী রোহনপ্রীতের মদ খাওয়া।
উদিত নারায়ণের ছেলে আদিত্য নারায়নের সঙ্গে বিয়ের মিথ্যে গুঞ্জনের পর রোহানের সঙ্গে বিয়ে সারেন নেহা। নেহার সঙ্গে রোহনের বিয়ের খবর ছড়াতেই পেজ থ্রির পাতায় জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। দিল্লির গুরুদ্বারে বিয়ের পর, ২ বার বসে নেহুপ্রীতের রিসেপশনের আসর।বিয়ের পর প্রথমে দিল্লি এবং পরে পঞ্জাবে বসে নেহার রিসেপশনের আসর। পঞ্জাবে দ্বিতীয় দফার রিসেপশনের পর মুম্বইতে ফিরে আসেন নেহা-রোহন। মুম্বইতে ফেরার পর দুবাইতে পাড়ি দেন এই জুটি। দুবাইতে প্রায় ১৫ দিনের হানিমুনের অবসর কাটিয়ে ফের কাজে ফেরেন নেহা।
যদিও বিয়ের তিন মাসের মাথাতেই পেজ থ্রি সরগরম হয়ে উঠেছিল নেহার মিথ্যে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে। সেসব যাইহোক নেহু রহুর হনিমুন থেকে ভালোবাসার খুঁটিনাটি খবর সব সময় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন গায়িকা। এটা বলতেই হয় নেহার সাথে কিন্ত রোহানের আলাপ গানের সূত্র ধরেই। রোহনকে অডিশনের জন্য ডাকা হয়েছিল। একটি মিউজিক কোম্পানি ডেকেছিল। সেখানে নেহাও ছিলেন। সেদিন রোহন যে গানটি গাইছিলেন সেটি নেহার লেখা ও সুর করা। গান শুনেই রোহনকে মনে ধরেছিল নেহার।
এর পর নেহার সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। তারপর সেখানেই শুরু হয় কথা। তবে মাত্র ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না রোহন। তিনি ভালোবাসেন কিন্তু বিয়েতে রাজি ছিলেন না। নেহাকে সে কথা জানিয়েও ছিলেন। তবে নেহার ভালো মানুষী ও মন দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি রোহন। রাজি হয়ে যান বিয়ে করতে। এখন তাদের সুখের সংসার। কিন্তু সুখের সংসারেই এবার হঠাৎ ঘনিয়ে আসল বিপদ।
সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল নেহার একটি ভিডিও। যেখানে একমুখ বিষন্নতা নিয়ে গাড়িতে বসে রয়েছেন নেহা। এরপরেই বাজতে থাকল ‘সাইয়া জি’। আর সেই গানে গলা মিলিয়ে নেহা গান ‘মেরে নটি সাইয়া জি, কিউ পিতে হো ইতনি’। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নেহা লেখেন, ‘আমার সাইয়া জি আমার মাথায় ও মনে আছে’। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট হতেই মুহূর্তে হয়ে যায় ভাইরাল। আর তারপর থেকেই শুরু হয় একের পর এক প্রশ্ন। এই ভিডিও দেখা নেটিজেনরা পোস্টে কমেন্ট করে লেখেন, ‘এটা কি সত্যিই অভিযোগ’। কেউ আবার লিখেছেন, ‘রোহনপ্রীতকে মদ খেতে বারণ করুন না’। কেউ বলছেন’ ও একটু আধটু তো সাবাই খায়’।