করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ এর জন্য দেশের একাংশ মানুষ অনেকদিন থেকেই চীনা পণ্য বয়কটের দাবি তুলেছিল। লাদাখ ইস্যুর পর কদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে আত্মনির্ভরশীল হবার বার্তা দিয়েছেন। তিনিও চীনা পণ্য ব্যাবহার ছেড়ে দেশীয় পণ্য ব্যাবহার এর কথা বলেছিলেন দেশবাসীকে।
চীন এর ব্যাবসার মূল কেন্দ্রস্থল ভারত এটা বলাই চলে। চীনের পণ্য ভারতের বাজারে ছেয়ে রয়েছে। তাই চীনকে ‘হাতে নয় ভাতে’ মারতে চীনের পণ্য বয়কটের মাধ্যমে চীনকে অর্থনীতিক দিকে কোণঠাসা করার নীতি নিয়েছিল কেন্দ্র।
এরপর গ্রাহকদের তথ্য চুরির অভিযোগে মোবাইলে থাকা প্রায় ৫২ টি চীনা অ্যাপ বর্জনের জন্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট কেন্দ্রকে পরামর্শ দেয়। কতৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এইসব অ্যাপ স্মার্টফোনে থাকলে ফোন থেকে গ্রাহকদের গোপন তথ্য চুরি হয়ে তা দেশের বাইরে চলে যাবে এবং এইসব তথ্য তারা খারাপ কাজে ব্যাবহার করবে। ইউসি ব্রাউজার, জেন্ডার, শেয়ারইট, ক্লিন-মাস্টার, টিকটিক, জুম এর মতো অ্যাপগুলোকে বর্জনের পরামর্শ দিয়েছিল ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট। কিন্তু জুম চীনা অ্যাপ নয়।
এই বিষয়ে কদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞপ্তিও ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে ন্যাশানাল ইনফরমেশন সেন্টারের লোগো দেওয়া ছিল এবং নোটিশে কিছু অ্যাপের নাম করে লেখা ছিল যে, কেন্দ্র সরকার এই অ্যাপগুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু পিআইবি এই নোটিশকে পুরোপুরি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে। পিআইবি থেকে জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্র থেকে গুগল বা অ্যাপেল প্লে স্টোরকে এরকম কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি। প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো (PIB) কেন এমন উল্টো সুর গাইছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষজ্ঞমহলে।