সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ধোনির অবদান কি তা বুঝিয়ে দিচ্ছে ধোনির অবসর নেওয়ার ঘোষণায় ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখের জল। ২০০৪ থেকে ২০২০ দেশের জন্য অবদানের শেষ নেই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির।
গত বছর ম্যাঞ্চেস্টারে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শেষবার ওয়ান ডে ক্রিকেটে মাঠে নামেন মাহি। আবার অদ্ভুতভাবে সেটিই মাহির কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। শেষ টি-২০ খেলেন গত বছর বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। মোট ৯৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে ৩৭.৬০ গড়ে ১৬১৭ রান সংগ্রহ করেন মাহি, হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ২টি। সর্বোচ্চ ইনিংস ৫৬ রানের। ক্যাচ ধরেছেন ৫৭টি এবং স্টাম্প করেছেন ৩৪টি। মোট ৩৫০টি ওয়ান ডে’র ২৯৭টি ইনিংসে ৫০.৫৭ গড়ে ১০৭৭৩ রান করেন ধোনি। সেঞ্চুরি করেছেন ১০টি। হাফ-সেঞ্চুরি ৭৩টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ১৮৩ রানের। বল হাতে একটি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। ক্যাচ ধরেছেন ৩২১টি। স্টাম্প করেছেন ১২৩টি। এক কথায় যাকে বলে ‘মাহি ইজ দ্যা বেস্ট’।
কিন্তু এখন প্রশ্ন অন্য জায়গায়। ভারতীয় দলে ধোনির জায়গা প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কোন তিনজন খেলোয়াড়কে সর্বাগ্রে রয়েছেন। আসুন দেখে নেয়া যাক সেই তালিকা। সঞ্জু স্যামসন: বছর ২৪- র বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান তিনি। আইপিএলে, স্যামসন দক্ষতার সাথে তার কাজ করেছিলেন। তিনি নিজেই দলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ২০১৫ তবে সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছিলেন। বহু বছর ধরে নিজের দক্ষতায় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে এক জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এবার আসা যাক ঈশান কিশানের বিষয়ে। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (এমআই) প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার কিশান। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা কিশানও মহেন্দ্র সিং ধোনির সাথে খেলেছেন। শুধু তাই নয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দারুণ দক্ষতা অর্জন করেছেন তিনি। উত্তেজনাপূর্ণ যুবক কিশান ভবিষ্যতে স্যামসন এবং প্যান্টের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য রয়েছেন বলে মনে করছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
অন্যদিকে ঋষভ পন্তকেও এড়ানো যায় না। ২০১৮ সালে অভিষেকের পরে এখন পর্যন্ত পন্ত ১৫ টি টি-টোয়েন্টি, নয়টি ওয়ানডে এবং নয়টি টেস্টে অংশ নিয়েছেন। এমএস ধোনির অনুপস্থিতিতে তাঁর প্রতিভা দিয়ে ন্যায়বিচার করতে এবং টিম ইন্ডিয়ার হয়ে পৌঁছে দেওয়ার যথেষ্ট পর্যায়ে রয়েছে তা অস্বীকার করা যায় না। এমনকি জাতীয় দলে ধোনির পাশাপাশি খেলতে গিয়ে পন্ত ধোনির কাছ থেকে বৈশিষ্টগুলি শেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু অন্যদিকে আবার ধৈর্য ও মেজাজের অভাব রয়েছে বলে বদনাম আছে ঋষভের।