২০০৪- এ শুরু ২০২০ তে শেষ। সকলের মন খারাপ করে দিয়ে পাচঁ দিন আগেই ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্ত কেন নিলেন মাহি সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য অধরা। ক্রিকেট ছাড়া ধোনি এ যেন ভাবাই যায় না। ধোনির অবসর নেওয়ার ঘটনায় শুধুমাত্র অনুরাগীদের চোখেই জল নয় অবসর ঘোষণার দিন ভারতীয় দলের জার্সি পড়ে সারারাত কেঁদেছিলেন ধোনি। ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফাঁস করলেন ‘ক্যাপ্টেন কুলের’ এক আবেগময় দিক।
২০০৪ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেন ধোনি। ৩০ দিন আগে ৩৯ বছর পূর্ণ করা এই ক্রিকেটার ২০১৪ সালের পর আর টেস্ট ক্রিকেট খেলেননি। অন্যদিকে ধোনির নেতৃত্বে ভারত ২০০৭-এ আইসিসি T-20 বিশ্বকাপ চাম্পিয়ন হয়। ২০১০ এবং ২০১৬ তে এশিয়া কাপ যেতে ভারত। ২০১১ -তে ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ তে আইসিসি চাম্পিয়ন ট্রফি তাঁর নেতৃত্বেই আসে ভারতে। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সবই ঠিক ছিলো এরই মাঝে শনিবার টুইট করে নিজেই অবসরের কথা জানালেন ধোনি। ধোনির ক্রিকেট থেকে অবসর মানতে পারছেন না কেউ।
ধোনির অবসর নিয়ে সম্প্রতি আশ্বিন বলেছেন,’ ২০১৪ সালে তিনি যখন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন, তখন মেলবোর্নে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য আমি তাঁর সাথে ব্যাটিং করছিলাম।তবে আমরা হেরে গেলে, সে কেবল স্টাম্প তুলে নিল এবং চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল তার পরেই সব শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। এটি তাঁর জন্য খুবই আবেগময় মুহূর্ত ছিল। ইশান্ত শর্মা, সুরেশ রায়না এবং আমি সেদিন সন্ধ্যায় তার ঘরে ছিলাম। তিনি সেদিন পুরো রাত জুড়ে তার টেস্ট ম্যাচের জার্সি পরেছিলেন এবং অনেক কেঁদেছিলেন’। অন্যদিকে ধোনির অবসর নেওয়ার ঘোষণার পরই অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সুরেশ রায়নাও। এই প্রসঙ্গে রায়না জানান, ধোনি আর সে অবসর ঘোষণা করার পর এক অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় ৭ টা ৩২ মিনিটে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন ধোনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘ধন্যবাদ। সারা জীবন ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সন্ধ্যা ৭ টা ২৯ মিনিট থেকে আমায় অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন’। পাশাপাশি নিজের জীবনের নানা ক্রিকেটীয় মুহূর্তের ছবি নিয়ে একটি গানও ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন ধোনি। ধোনির এই পোস্টের পেছনে তার কতটা আবেগ , খারাপ লাগা লুকিয়ে রয়েছে তা আজ স্পষ্ট।