আইপিএলের সাথে যুক্ত হলো “ডেইলিহান্ট”। ২০২০ আইপিএলের সহযোগী স্পনসর হিসেবে স্টার স্পোর্টসের সাথে যুক্ত হলো ডেইলিহান্ট। এবারেও আইপিএলের প্রধান সম্প্রচারকারী চ্যানেল স্টার স্পোর্টস। যেহেতু এই বছরের আইপিএল সম্পূর্ণ ভাবে টিভি দর্শকদের জন্য হতে চলেছে, তাই স্পনসরশিপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চলতি বছরের আইপিএলে। ইতিমধ্যেই সহযোগী স্পনসর হিসেবে স্টার স্পোর্টসের সাথে যুক্ত হয়েছে নয়টি বিভিন্ন সংস্থা। পলিক্যাব, ইউএসএল, কোকাকোলা, আইটিসি, মন্ডেলেজ, কমলা পসন্দ, রামি সার্কেল, এএমএফআই, জিলেটের পাশাপাশি এবার সহযোগী স্পনসর হিসেবে আইপিএলে থাকতে চলেছে ডেইলিহান্টও।
আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরশাহীতে শুরু হবে এই বছরের আইপিএল। করোনা ভাইরাসের জন্য এবছরের আইপিএল দর্শকদের অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে। মূলত টিভি দর্শকদের জন্যই হতে চলেছে আইপিএল ২০২০। উল্লেখযোগ্য, চলতি বছরে আইপিএলের স্পনসরশিপ থেকে সরে গিয়েছে চাইনিজ মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভো। ভিভোর জায়গায় এই বছরের আইপিলের প্রধান স্পনসরের ভূমিকায় থাকছে ফ্যান্টাসি অ্যাপ ড্রিম ইলেভেন।
এই ব্যাপারে ডেইলিহান্টের কর্তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও, তারা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। কিছুদিন আগেই ডেইলিহান্ট ‘জোশ’ নামে একটি লঞ্চ অ্যাপ করেছে। মনে করা হচ্ছে, প্রধানত ‘জোশ’-এর প্রচার চালাতেই তারা আইপিএলকে বেছে নিয়েছে। গত বুধবার এই অ্যাপটি লঞ্চ করেছে ডেইলিহান্ট। অ্যাপটি লঞ্চ করার সময় সংস্থার তরফে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের স্লোগানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে এই জোশ অ্যাপটিকে। সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি এবং ভারতীয়দের জন্যই এই অ্যাপ।
ইতিমধ্যেই এই অ্যাপটি প্রবল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। জানা গিয়েছে, ৪৫ দিনের বিটা টেস্টিংয়ে অ্যাপটি অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। সেই সাফল্যের দিকে তাকিয়েই সংস্থার তরফ থেকে আশা করা হচ্ছে, আগামীদিনে দেশ জুড়ে এই অ্যাপটি আরও জনপ্রিয়তা লাভ করবে। সংস্থার তরফে দাবী করা হয়েছে, ৪৫ দিনের বিটা টেস্টিংয়ে অ্যাপটির সাথে যুক্ত হয়েছে প্রায়২০০ এর বেশি A+ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও চারটি বড়ো মিউজিক সংস্থা। এই মূহুর্তে রয়েছে ২৩ মিলিয়নেরও বেশি দৈনিক ব্যবহারকারী। শুধু তাই নয়, এই ৪৫ দিনে ৫০ মিলিয়নেরও বেশিবার অ্যাপটিকে ডাউনলোড করা হয়েছে এবং ১ বিলিয়নের বেশিবার দেখা হয়েছে ভিডিও।