Virat-Anushka: চোখে জল বিরাটের, অন্যদিকে আত্মহারা হয়ে উদ্দাম নাচলেন স্ত্রী অনুষ্কা
মাঠে বিরাটের চোখ ঝাপসা হতেই মেলবোর্ন থেকে প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা স্ত্রী অনুষ্কা এবং কন্যা ভামিকা এদিন ভাসলেন আবেগে
রবিবারদিন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন স্টেডিয়াম(Melbourne Stadium) সাক্ষী থাকলো ইতিহাসের। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে পাকিস্তানের(Pakistan) থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিল ভারত(India)! এদিন রীতিমতো জ্বলে উঠলো বিরাট কোহলির(Virat Kohli) ব্যাট। আবেগে ভাসলো আপামর গ্যালারি। মাঠে ছুটে এসে সতীর্থরা বুকে জড়িয়ে ধরলেন বিরাট কোহলিকে(Virat Kohli)। অন্যদিকে সচিন তেন্দুলকার(Sachin Tendulkar) থেকে ভিভিএস লাক্সমান(Vvs laxman) প্রত্যেকেই প্রশংসায় বুঁদ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের!
মাঠে বিরাটের চোখ ঝাপসা হতেই মেলবোর্ন থেকে প্রায় কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা স্ত্রী অনুষ্কা(Anushka) এবং কন্যা ভামিকা(Vamika) এদিন ভাসলেন আবেগে। ছোট্ট মেয়ে ভামিকা(Vamika) কিছু বুঝে উঠতে না পারলেও মা অনুষ্কা এদিন ইনস্টাগ্রামে এক আবেগঘন পোষ্টের মাধ্যমে নিজের ভালবাসার বয়ান করলেন জীবন পুরুষের উদ্দেশ্যে,”সুন্দর! ভয়ানক সুন্দর। আজ রাতে তুমি অনেকের জীবন আনন্দে ভরে দিলে। বিশেষ করে দিওয়ালির রাতে। তুমি ভীষণ ভালো একজন মানুষ।
তোমার দৃঢ়তা, বিশ্বাস এবং একাগ্রতা অবিশ্বাস্য। আমি আমার জীবনের সেরা ম্যাচ দেখলাম। আমাদের মেয়ে ভামিকা ভাবছে মা কেন সারা ঘর ঘুরে ঘুরে নাচ করছে আর পাগলের মত চিৎকার করছে কিন্তু একদিন বুঝতে পারবে ওর বাবা সেদিন জীবনের সেরা ইনিংসটা খেলেছিলেন। একটা সময় পর যখন তা অনেক কঠিন ছিল কিভাবে ওর বাবা আরো জ্ঞানী হয়ে উঠেছিল। তোমার জন্য গর্বিত। তোমার শক্তি সংক্রামিত। প্রিয়, তুমি সীমাহীন। ভালো খারাপ যাই হোক তোমাকে আজীবন ভালোবাসবো।”
বহুবার বিরাটের ব্যর্থতার কারণে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে অনুষ্কাকে। তবে সেই সব সময়তে বটবৃক্ষের মতোই তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট। এদিন স্ত্রীয়ের আবেগঘন পোস্ট পড়ে বিরাট প্রত্যুত্তরে জানান,”প্রতিমুহূর্তে আমার পাশে থাকার জন্য ভালোবাসা। তোমায় ধন্যবাদ আমি তোমার কাছে কৃতজ্ঞ। ভালোবাসি তোমায়।” 22 গজে এদিন রাজার মতো যুদ্ধ করে ব্যাট হাতে সমালোচকদের রীতিমতো উত্তর দিয়েছেন বিরাট।
পরবর্তীতে রোমহর্ষক ম্যাচের মাধ্যমে যেভাবে জয় ছিনিয়ে এনেছে। সে বিষয়ে এদিন বিরাট জানান,” হার্দিকের বিশ্বাস ছিল যদি যদি ভারতীয় টিম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকতে পারে তাহলে জিতবে। তাই প্যাভিলিয়ন এন্ড থেকে শাহীন যখন বল করা শুরু করল আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ওর বিরুদ্ধে খেলব। হ্যারিস প্রধান বলার তাই ওই দুটি 6 মারতেই হয়েছিল।
তবে আমাদের হিসাব অত সহজ ছিল না। নাওয়াজের এক ওভার বাকি ছিল। হ্যারিসকে মারতে শুরু করলে ওদের মনে আতঙ্ক ধরবে এবং 8 বলে 28 থেকে 6 বলে 16তে নামিয়ে আনতে আমাকে অনড় থাকতে হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমার কাছে মোহালির ইনিংস সেরা ছিল তবে মেলবোর্নের ইনিংস আমি তার পরেই রাখবো।”