পুজো মন্ডপে দুর্দান্ত অঙ্গভঙ্গিতে অসাধারন ধুনুচি নাচ সুন্দরী যুবতীর, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
সব কিছুই খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়ে যায় এই বর্তমানের ডিজিটাল যুগে। চিরকালই নানা ধর্ম-বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত এক উন্নত পরিবার ভারতবর্ষ। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে নানা সভ্যতা সংস্কৃতি প্রত্যক্ষ করে আমরা যেন তাদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছি বারবার। নৃত্য, গীত বিভিন্ন শাস্ত্রীয় সংস্কৃতিতে বরাবরই পারদর্শী ভারতবর্ষ। এমনকি ভারত থেকেই বিশ্ব পেয়েছে মার্শাল আর্টও। কিন্তু এখন আমরা নানা সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পাচ্ছি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে, যা আরও সমৃদ্ধ করছে আমাদের জ্ঞান ভান্ডারকে। বাঙালির ঐতিহ্য হলো দূর্গা পূজা। এর সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ-ভালোবাসা। সমস্ত বাঙালিরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন প্রায় এক বছর ধরে, এমনকি দুর্গাপূজার জন্য অপেক্ষা করেন বিদেশের বাঙালিরাও।
অত্যন্ত আড়ম্বরের সাথে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় পৃথিবীর দিকে দিকে। থিম পুজো এবং তার সাথে ধুনুচি নাচ হলো কলকাতার দুর্গাপূজায় এক বড় আকর্ষণ। কলকাতার আদি বাড়ির দুর্গাপূজাগুলিতে প্রায় শত শত বছর ধরেই চলে আসছে ধুনুচি নাচ। প্রথমদিকে বাড়ির দুর্গাপুজোগুলি থেকেই প্রধানত বাড়ির ছেলেরাই দশমীর দিনে ধুনুচি নাচ করতেন। কিন্তু বর্তমানে সময় সাথে মানসিকতাও বদলেছে মানুষের। এখন ধুনুচি নাচ হয় কলকাতার বিভিন্ন থিম পূজার প্যান্ডেলেও। সাথে মেয়েরাও এখন অত্যন্ত পারদর্শী ধুনুচি নাচে। এমনকি ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতাও হয় অনেক জায়গায়।
এক ভদ্রমহিলা একসাথে তিনটি ধুনুচি নিয়ে একাই নাচ করছেন – এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভদ্রমহিলার মুখে রয়েছে একটি এবং দুই হাতে আরও দুটি ধুনুচি যার সবক’টিতে রয়েছে জ্বলন্ত অবস্থায়। ওই তিনটি জ্বলন্ত ধুনুচি নিয়েই একাই নাচ করছেন মহিলা। প্যান্ডেলের সামনে করা ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভদ্রমহিলার চারিদিকে রয়েছেন অনেক মানুষ। সত্যিই প্রশংসনীয় তাঁর এই নাচ। যেখানে এটি যথেষ্ট কঠিন একটি ছেলের পক্ষেও, সেখানে দর্শক মুগ্ধ হয়ে গেছেন এই মহিলার এই নাচ দেখে। কমেন্টবক্সে সকলেই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাঁকে। ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর “মিঠু মল্লিক” নামে একজনের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পুরোনো হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও সাড়া জাগিয়েছে সেই ভিডিও।
ভিডিওটি দেখেছেন প্রায় ৫৫ লাখের মতো মানুষ। ভিডিওটি লাইক করেছেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ ও কমেন্ট করেছেন প্রায় ৫০০ মত মানুষ। এমনকি তাঁর জন্য প্রশংসা এসেছে ওপার বাংলা থেকেও। কমেন্ট বক্সে “রেড হার্ট” ইমোজি, “একদম ঝাক্কাস” কমেন্ট ভরে গেছে। “জয় মা দূর্গা” বলে কমেন্ট করেছেন অনেক মানুষ। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছেন এই ভদ্রমহিলা নিজের প্রতিভার জন্য। বাংলার ঘরে ঘরে অনেক প্রতিভাবান গৃহবধূর স্বামী-সংসারের চাপে নিজের সমস্ত ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। প্রতিভা থাকলেও তাঁরা বিসর্জন দিতে বাধ্য হন নানা কারণে। বর্তমানে এমন অনেক গৃহবধূ তাঁদের প্রতিভাকে সকলের সামনে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছিল দোলন রায় নামে এক গৃহবধুর নাচ। বাংলার সকল মেয়েদের কাছে এক অনুপ্রেরণা এইসব গৃহবধূরা। বাংলার প্রত্যেকটি মেয়েরা এগিয়ে এলে তবেই তৈরি হবে এক উন্নত সমাজ।