সোজা বা গোল না হয়ে জিলিপি কেন প্যাঁচানো হয়? প্রায় ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে পারেননি

রথের মেলা হোক কিংবা পুজোর বাজার-জিলিপি খেতে কে না পছন্দ করে? আড়াই প্যাচ বিশিষ্ট এই অভিনব মিষ্টিটি আমাদের সকলেরই প্রিয়। শেষ পাতে অনেকে আবার রাবরির সাথে জিলিপির কম্বিনেশন অত্যন্ত বেশি পছন্দ করে থাকেন। তবে আপনি কি জানেন আপনাদের এই ভারত জনপ্রিয় মিষ্টিটির নেপথ্য ইতিহাস সম্পর্কে? আদতে ভারতে নয় এর উৎপত্তিস্থল সুদূর পশ্চিম এশিয়ায় বলে জানা যায়।
ময়দা এবং আটার সংমিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টিটিকে প্রথমে ভেজে তারপরে চিনির রসে চুবিয়ে রাখা হয়। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং অভিনব এই মিষ্টিটি কিন্তু আমাদের প্রাণপ্রিয় ভারতবর্ষে আবিষ্কৃত হয়নি বরং আবিষ্কৃত হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে বহুদূরে। জানা যায়,মিশরের ইহুদীরা তাদের “হানুক্কাহ” অনুষ্ঠানে জিলিপির ন্যায় এক অভিনব মিষ্টি তৈরি করত যার নাম “জালেবিয়া”।
শুধু তাই নয়,জানা যায় জাহাঙ্গীরের দরবারে “জাহাঙ্গীরা” নামক এক মিষ্টি তৈরি হতো যা অবিকল দেখতে জিলিপির মতো বলেই মনে করা হয়। তবে এই জিলিপির ইতিহাস রয়েছে আরও গভীর। প্রাচীন “অক্সফোর্ড কম্পানিয়ন টু ফুড” নামক এক বই থেকে জানা যায় আজ থেকে প্রায় 600 বছর আগে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মোহাম্মদ আল হাসান বাগদাদি নামক এক ব্যক্তি এই জিলিপি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন।
তবে জিলিপির উৎপত্তি নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ না থাকলেও সবারই অভিমতে এটি একটি অন্যতম পছন্দের মিষ্টি বাংলা তথা সারা ভারতের। তাই ঈদ হোক কিংবা দিওয়ালি,রথের মেলা হোক কিংবা দুর্গাপুজো জিলিপি ছাড়া ঠিক জমে না। তাই পরের বার থেকে মুচমুচে এই মিষ্টিতে কামড় বসানোর সময় এর নেপথ্য ইতিহাসটি ভুলবেন না যেন।