জন্মের সময় বাচ্চাদের ৩০০ টি হাড় থাকলেও বড় হলে ২০৬ টি হাড় হয়ে যায় কেন? জানলে চমকে যাবেন

আমরা সকলেই জানি একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে ২০৬টি হাড় থাকে। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, তাহলে সদ্যোজাতের শরীরে কয়টি হাড় থাকে? তখন প্রশ্নের উত্তর পাল্টে যাবে৷ কারণ সদ্যোজাতের শরীরে থাকে ৩০০টি হাড়। শুনে অবাক হলেন নাকি! আসলে এটিই সত্যি। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের তুলনায় একজন সদ্যোজাতের দেহে বেশি পরিমাণ হাড় থাকে। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই হাড়গুলি কোথায় যায়!
৯৪টি হাড় কমে গিয়ে দাঁড়ায় ২০৬টি। কিন্তু এর কারণ কী! এই প্রশ্নেরই উত্তর রয়েছে আজকের প্রতিবেদনে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আগে জানতে হবে মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য কী? মেরুদণ্ডী প্রাণী তারাই যাদের শরীরে মেরুদণ্ড আছে এবং যাদের শরীরে মেরুদণ্ড নেই তারাই অমেরুদণ্ডী। মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে মানুষ, মাছ, পাখি, বাঘ সিংহ, হাতি ইত্যাদি।
অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক প্রাণী, মাকড়সা, পোকামাকড়, কেঁচো ইত্যাদি। যারা মেরুদণ্ডী প্রাণীর তালিকায় রয়েছে তাদের শরীরে একটি আকার রয়েছে। মেরুদণ্ড এই আকার তৈরি করে। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের দেহে হাড় একটি কঙ্কাল তৈরি করে। এই কঙ্কাল শরীরে একটি আকার দেয়। আর এই কঙ্কালের সঙ্গে রয়েছে মাংসপেশি। মানুষের শরীরে রয়েছে ২০৬টি হাড়। কিন্তু একজন নবজাতক ৩০০টি হাড় নিয়ে জন্মায়।
কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাকি ৯৪টি হাড় মিশে যায়। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মানুষের কঙ্কালে রয়েছে তরুণাস্থি। এই কারণে নবজাতকের শরীরে হাড় বেশি থাকে। শিশুর মাথার খুলি কপাল, মুখের কঙ্কাল নিয়ে গঠিত। পরে এটি ২২টি হাড়ে মিশে যায়। নবজাতকের জন্মের সময় হাতের ও পায়ের হাড় মিশ্রিত হয় না। শিশুর জন্মের সময় তাদের হাড় থাকে ছোটো ও দুর্বল। যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শক্ত হয়ে যায়। এই কারণে জন্মের সময় ৩০০টি হাড় থাকলেও পরে সেটি ২০৬টি হাড়ে পরিণত হয়।