অফবিট

পরনের শাড়ি খুলে ফেলে যুবকের প্রাণ বাঁচালেন দুই মহিলা

Advertisement
Advertisement

বুদ্ধি থাকলে উপায় হয়। তবে শুধু বুদ্ধি থাকলেই চলে না, সঠিক সময়ে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগানো একটা গুন। এবার এই উপস্থিত বুদ্ধির জেরেই দুই মহিলা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলেন দুই ব্যক্তিকে। ঘটনাটি গত ১৯ আগস্টের। বন্যার জলে দুজন ব্যক্তি নদীতে ভেসে চলে যাচ্ছিলেন। সেই দুই ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন দুই মহিলা। তবে দুজনকে বাঁচাতে পারলেও তৃতীয় ব্যক্তিকে তারা বাঁচাতে পারেনি।

গত ১৯ আগস্ট সকালের দিকে ছত্রিশগড়ের মুঙ্গেলী জেলার ছিন্দভোগ গ্রামের নদীতে স্নান করছিলেন পূর্ণিমা কেওয়ান্ত (৪০) এবং পঞ্চবটি (৩৫). হঠাৎ করেই তাঁরা একটা চিৎকার শুনতে পান, তাকিয়ে দেখেন যে ৩ জন ব্যক্তি বন্যার জলে ভেসে যাচ্ছেন। তখনই ওই দুই মহিলা তাঁদের বাঁচানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা সাঁতার কেটে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে ভেসে যাওয়া ব্যক্তিদের নাগাল পাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।

তখন তাদের শাড়ি দিয়ে পাড়ে পড়ে থাকা একটি লোহার রড বেঁধে ওই ব্যক্তিদের দিকে ছুঁড়ে দেন। ওই শাড়ি দুজন ব্যক্তি ধরতে পারলেও তৃতীয় ব্যক্তি ধরতে পারেননি। তৃতীয় ব্যক্তি ভেসে যায়। পরে কিছুদূর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই দুই ব্যক্তিকে তাঁরা সাঁতরে পাড়ে তুলে আনেন।

পাথরিয়ার মহকুমা শাসক অনুরাধা অগ্রবাল বলেন যে অসাধারণ সাহস এবং উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে দুই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী পূর্ণিমা ও পঞ্চবতী দুটি জীবন বাঁচিয়েছেন। তিনি ওঁদের নাম পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করবে বলেও জানিয়েছেন। যে দুজন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে, তারা হলেন ২৩ বছরের অনিল এবং ৩৫ বছরের রামেশ্বর পটেল। তৃতীয় ব্যক্তির নাম মনোজ পটেল। তাঁর বয়স ৩০ বছর। তবে তিনি মারা গেছেন।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles