বেঁচে উঠলো তিন হাজার বছর আগের মমি, শেষ ইচ্ছার কথা জানালো মৃত পুরোহিত
সেই ছোট থেকেই হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র সিরিজ The Mummy থেকে মমির সাথে পরিচয়। যার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পিরামিড আর মমির দেশ মিশরের কথা। হাজার হাজার বছর আগেকার পৃথিবীর দিনকাল যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কিন্তু কখনো বাস্তবে মমিকে কথা বলতে দেখেছেন?তাকে জীবন্ত হয়ে উঠতে দেখেছেন?
সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে, তিনহাজার বছর পূর্বে মৃত ব্যক্তি যাকে মমি করে রাখা হয়েছিল সে জীবন্ত হয়ে নিজের শেষ ইচ্ছে কথা জানিয়েছেন। কি মনে হচ্ছে কোনো ভুতুড়ে কান্ড? না এই পুরো বিষয়টিই বিজ্ঞানের। বিজ্ঞানের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে তাকে ফের বাঁচিয়ে তোলা হলো। ওই মমি যে শব্দ উচ্চারণ করেছে সে সম্পর্কে যথেষ্ট ওকাহিবহল বিজ্ঞানীরা। তবে তার কন্ঠ খুব ক্ষীন হওয়ায় পুরোপুরি বুঝতে পারেননি। কিন্তু কিভাবে এটি সম্ভব হল?
সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামক জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী থ্রিডি প্রিন্টার ভোকাল বক্স এর মাধ্যমে মমিকে কথা বলা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পুরো বিষয়টি বিশ্লেষণ করে জানানো হয়েছে যে মানুষের ল্যারিংসে শব্দ তৈরী হয়। আর ভোকাল ট্র্যাক প্যাসেজে সেই শব্দ ফিল্টার হয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করে। তিনহাজার বছর আগে সেই ব্যক্তি শেষ যে কথাটি বলেছিলেন তা জানার জন্য প্রথমে বিজ্ঞানীরা তার ভোকাল ট্র্যাকের ডাইমেনশন থ্রিডি প্রিন্টারে কপি করেন। তারপর 3D প্রিন্টারের মমির ভোকাল ট্র্যাকের কপি করে ল্যারিংশে কৃত্রিমভাবে কণ্ঠস্বর তৈরি করেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ওই মমিটি বেড বা ব্যাড জাতীয় কিছু শব্দ উচ্চারন করেছেন।
প্রসঙ্গত তিন হাজার বছর পূর্বে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল তার নাম হল নেসিয়ামান। মিশরের প্রাচীন শহর থিবসের কারনাকে দেবতার মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন তিনি। ইতিহাসবিদেরা জানিয়েছেন মাত্র 50 বছর বয়সে মুখে সংক্রমনের কারনে মৃত্যু হয় তার।
তার মৃত্যুর পর ওই মন্দিরে মমি করে রাখা হয়েছিল। এরপর ১৮২৩ সালে ইংল্যান্ডের লিডস সিটি মিউজিয়ামে দর্শকদের জন্য প্রদর্শন করে রাখা হয়। তারপর থেকে এই মমি ঘিরে চলেছে প্রচুর পরীক্ষা। কিন্তু এইরকম যুগান্তকারী আবিষ্কারে স্তম্ভিত নেটিজেনরা।