অফবিট

চাকরি ছেড়ে সিঙ্গারার দোকান দিয়ে কোটিপতি, অসাধারণ নজির গড়ল ভারতীয় এই যুবক

Advertisement
Advertisement

আমরা প্রত্যেকেই শান্তিপূর্ণ জীবনের পাশাপাশি জীবনে স্বপ্নপূরন করতে চাই, প্রত্যাশিত সাফল্য লাভ করতে চাই। আর এরজন্য লাগে পরিশ্রম অধ্যাবসায়, ধৈর্য্য। যারা নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই তারা সবসময় স্বপ্ন কে অনুসরণ করেন। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন উদ্যোগ ও ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন। এই যেমন এই ব্যক্তিটির কথাই ধরুন ঈর্ষনীয় বেতন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল জীবন বিশ্বের সেরা আইটি প্রতিষ্ঠান গুগল এ চাকরি, কোটি টাকার হাতছানি কিন্তু এই সমস্ত কিছুকে নস্যাৎ করে নিজের স্বপ্নে মশগুল হয়ে স্বপ্নপূরন করেছেন।

পরিকল্পিতভাবে গুগলের চাকরি ছেড়ে, বিলাসবহুল জীবনের মায়া ত্যাগ করে স্বপ্নের পথে হেঁটেছিলেন। বর্তমানে তিনি এক সিঙ্গারার দোকানের মালিক। এইটুকু শুনলে তার ভাবনাকে পাগলের কান্ড বলেই মনে হতে পারে। তাই এই ব্যক্তির জীবনের পুরো ঘটনাটাই জেনে নিন।

গুগল একাউন্টের স্ট্র্যাটেজিস্ট পদে ছিলেন মুনাফ। মুসৌরি হায়দ্রাবাদ থেকে মুম্বাই তিন জায়গায় বদলি হয়েছিল তার। এরপরই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি এবং মায়ের হাতের রান্না দিয়ে শুরু করেন জীবনের প্রথম ব্যবসা। ডেলিভারি কিচেন থেকে অনলাইন অর্ডার এভাবেই চলছিল।

কিন্তু ব্যবসা বাড়ানোর জন্য যে পরিমান অর্ডার প্রয়োজন তা পাচ্ছিলেন না, একবার ভেবেছিলেন ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু হঠাৎই স্বপ্নের মতোই ফোর্বস ইন্ডিয়া থেকে ফোন কল আসে তার কাছে তারা জানান মুনাফের ব্যবসা নিয়ে তারা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করতে চান। মুনাফের এই উত্থান ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশ হয়। এরপরই স্বপ্নপূরণের জেদ চেপে যায় তার মনে।

এবার তার পরিশ্রমের পর সফলতার ধাপ। তিনি মুম্বাইয়ের একটি সিঙ্গারা স্টোর খোলেন। তার হাতের সুস্বাদু সিঙ্গাড়া ও সস দিয়ে মন জয় করে নেন শহরবাসীর। তার সিঙারার স্বাদ নিতে দোকানের সামনে প্রতিদিন ভিড় লেগে যায়। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, হৃত্বিক রোশন, রানি মুখার্জির মতো সেলেবরাও তার হাতের রান্নার প্রশংসা করেছেন। সিঙ্গারার পাশাপাশি তার দোকানের নার্গিস কাবাব, ডাব্বা গোস্ট রেসিপি সুপারহিট। বর্তমানে বছরে প্রায় 50 লক্ষ টাকা আয় করেন, আর সঙ্গে নিজেই নিজের বস তিনি।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles