অফবিটনিউজ

দেখুন ভিডিও- গৃহহীন বৃদ্ধের মরদেহ নিজের কাঁধে তুলে ১ কিমি হাঁটলেন মহিলা পুলিশ কর্মী, ধন্য ধন্য করছে গোটা ভারত

Advertisement
Advertisement

সোমবার এক ৮০ বছরের গৃহহীন ব্যক্তির দেহ নিজের কাঁধে তুলে ১ কিমি পর্যন্ত নিয়ে যান এক মহিলা সাব ইনস্পেক্টর। কেউ এগিয়ে আসছিল না ব্যক্তির দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর নিরুপায় দেখে নিজেই নিজের কাঁধে ঐ ব্যক্তির মৃতদেহ তুলে নিয়ে যান ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক। অন্ধ্রপ্রদেশে শ্রীকাকুলম জেলার কাশীবুগা-পলাসার সমপঙ্গিপুরম গ্রামের এই ঘটনায় একদিকে যেমন গোটা দেশ স্তম্ভিত, সেরকমই সকলে বাহবা দিচ্ছেন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের কাজকে।

কাজু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত অন্ধ্রপ্রদেশের এই জায়গা। গ্রামের ক্ষেতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়েছিল কাশীবুজ্ঞা পুলিশ। এরপর কনস্টেবলদের সাথে সেখানে পৌঁছান থানার সাব ইনস্পেকটর কোট্টুরু সিরিশা। তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাই এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দেহ। এই ব্যক্তি ভিখারি ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। মুশকিল ছিল মৃতদেহটি ক্ষেতের মধ্যে থেকে বের করা, কারণ কোনও রাস্তা ছিল না সেখান থেকে বেরোনোর। স্থানীয়রা কেউ এগিয়ে আসেনি তাঁর অনুরোধ সত্ত্বেও। এরপর তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। সিরিশা জানান, আপাতত কোনও সন্দেহর কারণ নেই ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে, কারণ কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি ওঁর শরীরে।

সিরিশা জানিয়েছেন, অনাহারই ওই ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তির মৃত্যু কারণ। তিনি আরো বলেন, যখন কেউ সাহায্য করছিল না দেহটি ওঠাতে, তখন একটি ট্রাস্টের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে দেহটিকে উদ্ধার করে পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। প্রায় ২৫ মিনিট সময় লেগেছিল দেহটিকে পুলিশের গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে। কয়েকজন গ্রামবাসী সেই দেহটিকে সৎকার করার জন্য এগিয়ে আসেন মহিলা পুলিশ আধিকারিককে দেহ নিয়ে যেতে দেখে আর তখন সাহায্য করেন।

একটি ১২ বছরের শিশুও আছে সাব ইনস্পেকটর সিরিশার। তাঁর পুলিশের কাজ বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, তাঁর বাবা নিজের চার কন্যা সন্তানের মধ্যে পুলিশের কাজে দেখতে চাইতেন একজনকে। সিরিশা বলেন, ‘যখন আমি দেহটি তুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, তখন কোনও ভয় ছিল না আমার মনে। আমি পুলিশে যুক্ত হয়েছি মানুষের সেবা আর সমাজকে বদলানোর জন্য। সম্মানের অধিকারী মৃত মানুষও। শুধু নিজের কর্তব্য পালন করেছি আমি’।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles