বিজ্ঞানের মতে কোন কোন মানুষের উচ্চতা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে আছে মানবদেহের পিটুইটারি গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন এর অস্বাভাবিক ও অত্যাধিক ক্ষরণের ফলে কোন মানুষের উচ্চতা বা দৈর্ঘ্য সাধারনের থেকে অনেক বেশি হয়।
এরকমই এক মানুষ যিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উচ্চতাসম্পন্ন, নাম জিন্নাত আলি যার উচ্চতা প্রায় আট ফুট ছয় ইঞ্চি। কিন্তু তিনি একাই নন এরকম আরো কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যাদের উচ্চতা আমাদের অবাক করবে।
সম্প্রতি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে সিচুয়ান প্রদেশ এরকম এক লম্বা কিশোরের খোঁজ মিললো। লেশানে বাসিন্দা রেন কেয়ু যার বয়স মাত্র ১৪ ইতিমধ্যে তার উচ্চতা ৭.২৫ ফুট। এরপূর্বে এত কম বয়সে সর্বাধিক উচ্চতায় নাম ছিল আমেরিকার কেভিন ব্র্যাডফোর্ডের। কিন্তু সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দিল কেয়ু। ১৪ বছর বয়সী এই কিশোর বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ টিনেজার এর তকমা লাভ করলো।
তবে অবাক করার বিষয় এটাই যে এই কিশোরের অস্বাভাবিক উচ্চতার কারণ কোন রকম সমস্যা বা রোগ নয়। সে একদম সুস্থ ও স্বাভাবিক। খবরের সূত্র অনুযায়ী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তরফে কেয়ু বা জিয়ায়ুর উচ্চতা মাপা হয়েছে। জানানো হয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারিভাবে তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ওই কিশোরের মতে তার বাবাও দাদুর উচ্চতাও ৬ ফুটের বেশি বলেই বংশগত কারণে তারও উচ্চতা এরকম হয়েছে।