পৃথিবী ঠিক কবে ধ্বংস হবে সেই নিয়ে উত্তেজনা ভয় চিরকালের। বারবার বিজ্ঞানী থেকে শুরু দার্শনিকেরা ঘোষণা করেছেন পৃথিবী ধ্বংসের দিনক্ষণ। যার সৃষ্টি আছে তার ধ্বংস আছে এ চিরন্তন সত্য, ঠিক একইভাবে পৃথিবীও ক্রমশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ব বিখ্যাত পদার্থবিদ ও কসমোলজিস্ট স্টিফেন হকিং বহু ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। ঠিকই কি বলেছিলেন তিনি জেনে নিন।
1) november বেজিংয়ে Tencent WE Summit তিনি বলেন যে 600 বছরের মধ্যে আমরা পৃথিবীবাসীরা মারা যেতে চলেছি। উল্কাপাত ঘটবে বিশ্বজুড়ে লাল হয়ে জ্বলবে গ্রহ। কি করে এই অবস্থা হবে এই বিষয়ে বলেন যে- 2600 সালে পৃথিবীর কানায় কানায় জনসংখ্যা বেড়ে যাবে যার ফলে বৈদ্যুতিক খরচ এতটাই হবে যে পৃথিবী লাল গোলায় পরিনত হবে।
2) একটি সাক্ষাৎকারে প্রফেসর হকিং এর কথা ছিল যে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে প্রযুক্তির প্রতি মানুষ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে মানবসভ্যতার দিন শেষ হবে। তার কথায়- মানুষের জায়গা নেবে মানুষের হাতে তৈরি রোবটরা, তারাই রাজত্ব করবে। মানব সভ্যতার দিন শেষ হবে।
3) অভিব্যক্তির কুপ্রভাব আর কয়েক বছরের মধ্যে টের পাবে মানুষ। পারমাণবিক শক্তি নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে লড়াই। যেখানে প্রযুক্তি একটি বড় অস্ত্র, সেই অস্ত্র গুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি। আর এর শেষ পৃথিবী ধ্বংস।
4) আর 100 বছরের মধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করবে। এর ফলে অন্য বাসস্থান খুঁজবে মানুষ। এসময় আবহাওয়া পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ও অন্যান্য একাধিক কারন দায়ী থাকবে ধ্বংসের জন্য ।
5) যে মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিসে ক্লাইমেট চেঞ্জ এর চুক্তিতে সই করবেন না বলে জানিয়েছিলেন তখন হকিং জানিয়েছিলেন তার এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব উষ্ণায়নে ত্বরান্বিত করবে। পৃথিবীর শুক্র গ্রহে পরিণত হবে, উষ্ণতা আড়াইশো ডিগ্রী ছুঁড়ে ফেলবে, আকাশ থেকে বর্ষিত হবে সালফিউরিক অ্যাসিড।
6) সময় যত এগোবে নতুন আইডিয়া আসবে কিন্তু নতুন আইডিয়া পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ হতে পারে ।