অসম্ভব বলে মানুষের ডিকশনারি কিছু নেই, আমাদের আশেপাশেই প্রচুর মানুষ আছে যাদের মধ্যে প্রচুর গুন আছে। একজন নিজের প্রতিভা দিয়ে একটা রেকর্ড তৈরি করছে তো অপরজন সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ছে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে আমরা এতো সুন্দর শিল্পনৈপুন্যের সাক্ষী থাকতে পারছি।
মাত্র তিনবছর বয়েস থেকে রঙের আচড়ে আঁকার সহজপাঠ শুরু হয়েছিল তার। ছোট থেকে ঝোঁক ছিল আকার প্রতি আস্তে আস্তে একটু বড়ো হতে সেই ঝোঁক পরিনত হয় ভালোবাসায়। শুধু ছবি নয় একের পর এক রঙ হাতে নতুন সৃষ্টিতে মেতেছিল সে। নতুন কিছু করার ইচ্ছা বরাবর ছিল এবার সেই ইচ্ছা পূর্নতা পেল।
বয়স মাত্র ১০ বছর হাওড়া মন্দির তলার বাসিন্দা ঋতমা ধর ইতিমধ্যে নিজের শৈল্পিক প্রতিভা দিয়ে ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডে নাম তুলে ফেলল। কুমড়োর বীজের উপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নেতাজী এমনকি গ্রাম বাংলার রূপ ফুটিয়ে তুলে বিচারকদের মন জয় করল। ছোট্ট জিনিসের উপর ছবি এঁকে দেশের সবথেকে খুদে হিসাবে রেকর্ড গড়েছে সে।
মেয়ের প্রতিভা বিকাশের জন্য সবথেকে বেশি উৎসাহ জাগিয়েছিলেন তার মা-বাবা। ডাল চিড়ে সবকিছুর ওপর ছবি আঁকার চেষ্টা করেছিল সে কিন্তু পরবর্তীতে মায়ের পরামর্শে কুমড়োর বীজের উপর ছবি আঁকা শুরু করে। রং তুলির ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলতে থাকে একের পর এক সৃষ্টি কলা। আর মেয়ের এই সৃষ্টি কলা বাবা তন্ময় বাবু পাঠিয়ে দেন ইন্ডিয়ান বুক অব রেকর্ডের দপ্তরে। একইসঙ্গে নারী নির্যাতনের প্রেক্ষাপটের কাগজে আঁকা ছবি পাঠিয়ে দেন সেখানে। এই ছবিগুলি এতটাই মন কেড়ে নিয়েছিল যে বিচারকদের সর্বসম্মতিতে ছোট্ট ঋতমা বিশেষ সম্মান লাভ করে। তার সৃষ্টিকলা নিয়ে একদিন যে সে বিশ্বজয়ী হবে তাই কামনা করেছে সবাই।