সানাইয়ের বাজনায় মালা বদল, কেক কেটে ৭৩ তম বিবাহ বার্ষিকী পালন, তুমুল ভাইরাল দাদু-দিদার রোম্যান্টিক ভিডিও
বর্তমানে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হয়েছে। এখন বেশিরভাগ সন্তানেরাই বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সাথে থাকেন না। কেউ চাকরি সূত্রে বাবা-মায়ের থেকে দূরে থাকেন। আবার কেউ আলাদা থাকেন। তবে অবশ্যই ব্যতিক্রম রয়েছে। যদিও আজকালকার দিনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ছেলে মেয়েরা পিত-মাতার কোনো দায়িত্ব নিতে চান না। তাই শেষপর্যন্ত তাঁদের ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকা যে কত কষ্টের তা সেই বৃদ্ধ পিতা-মাতাই বোঝেন।
একটা পিতা -মাতা সবসময় সন্তানদের সাথে সন্তানদের পাশে থাকতে চান। বয়সকালে তাদের থেকে ভালোবাসা পেতে চান। তবে এখন প্রায়ই রাস্তাঘাটে, স্টেশনে দেখা যায় বৃদ্ধ মানুষেরা পড়ে রয়েছেন। সন্তানেরা তাঁদের দেখেন না। কিন্তু ব্যতিক্রম তো আছেই। আর সেরকম এক ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী মেদিনীপুর।
মেদিনীপুরের বৃদ্ধ দম্পতি শ্রী অনিল কুমার ভট্টাচার্য ও শ্রীমতি ভবানী ভট্টাচার্যের ৭৩ তম বিবাহ বার্ষিকী ধুমধাম করে পালন করলেন ভট্টাচার্য্য পরিবারের সকল সদস্যরা। অনিল বাবুর বয়স ৯২ বছর আর ভবানী দেবীর বয়স ৮৭ বছর। আর এদের বিবাহবার্ষিকী পালন করছেন পরিবারের সকলে মিলে। এই দম্পতির ছেলে-মেয়ে, বৌমা, নাতি, নাতনি সকলেই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন। আর এই সুন্দর মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন এই ভট্টাচার্য পরিবারের কোনো এক সদস্য।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে অনিল বাবু তাঁর স্ত্রীকে মালা পরিয়ে দিলেন। আর তাঁর স্ত্রীও হাত কাঁপতে কাঁপতে তাঁকে মালা পরিয়ে দিলেন। এরপর হাততালির আওয়াজে অনুষ্ঠান যেন আরও সুন্দর হয়ে গেলো। অনিল বাবুকেও হাততালি দিতে দেখা গিয়েছে। এরপর কেক কেটে বিবাহবার্ষিকী সেলিব্রেশন করা হলো। আর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। আর এত সুন্দর উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।