হিন্দু ধর্মে মহিলাদের শ্মশানে যেতে নিষেধ করা হয় কেন? আসল কারণ জানলে চমকে উঠবেন

হিন্দু ধর্মে কারোর মৃত্যু হলে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। লক্ষ্য করলে দেখা যায় শুধু পুরুষেরা শ্মশানে যান, বাড়ির মহিলাদের শ্মশানে যেতে দেওয়া হয় না। যদিও শহরাঞ্চলে দৃশ্যটি একটু অন্যরকম। তবে জেনে নেওয়া যাক কেনো মহিলাদের শ্মশানে যেতে নিষেধ করা হয়।
১) যখন মৃতদেহ শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সেইসময় বাড়িতে কোনো একজন থাকা দরকার। ঘর পরিস্কার করা জরুরি। কারণ মৃতদেহ থেকে নানান সংক্রমণের ভয় থাকে। এর পাশাপাশি যখন শ্মশান থেকে তারা ফিরে আসেন তাদের সামনে নিম পাতা, লোহা, আগুন এগিয়ে দিতে হয়।
২) শ্মশানে মৃতদেহ পোড়ানোর সময় সেই মৃতদেহকে বাঁশের আঘাতে টুকরো টুকরো করা হয়। অর্থাৎ শ্মশানের এই কার্যকলাপ বেশ ভীতিকর। অতএব মহিলারা যেহেতু একটু নরম প্রকৃতির তাই তারা এই ভয়াবহতা দেখে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। তাই তাদের শ্মশানে যেতে না দেওয়া একটি কারণ।
৩) অনেকের মতে, শ্মশানে অশুভ আত্মারা ঘুরে বেড়ায়। এই অশুভ শক্তি কালো লম্বা চুলের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, শ্মশানে সমস্ত মানুষ মোক্ষ পায় না৷ তাদের কিছু আত্মা সেখানে ঘুরে বেড়ায় এবং তারা মহিলাদের লক্ষ্য করে।
৪) হিন্দু শাস্ত্র মতে, সমস্ত শ্মশান যাত্রীদের মস্তক মুণ্ডন করতে হয়৷ এই মস্তক মুণ্ডনকে মৃত মানুষের প্রতি শেষ সম্মানজ্ঞাপন বলে ধরা হয়। পুরুষেরা দাহ শেষ করার পর তাদের চুল নিবেদন করে কিন্তু স্ত্রীলোকেরা যেহেতু চুল নিবেদন করতে পারে না তাই তাদের শ্মশানে যেতে দেওয়া হয় না।
৫) সামাজিক মতে, কাউকে বিদায় জানাতে হয় হাসিমুখে। কিন্তু কারোর মৃত্যুতে স্ত্রীলোকের চোখের জল বাঁধ মানে না। শেষ যাত্রায় কান্নাকাটি করলে আত্মা বিচলিত হয় এবং সেই আত্মা মায়ায় আবদ্ধ হয়ে পৃথিবীতে থেকে যায়। সে মুক্তি পাওয়ার তাড়নায় জীবিতদের ক্ষতি করতে চেষ্টা করে। তাই স্ত্রীলোকেদের শ্মশানে যেতে না দেওয়ার একটি কারণ হিসেবে এটিকে গন্য করা হয়।