মধু কেন ১০০ বছর পরও নষ্ট হয় না? প্রায় বেশিরভাগ মানুষই উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছেন

পৃথিবীর সব খাবারেরই ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। মাছ, মাংস হোক বা শাকসবজি আবার যে কোনো প্যাকেটজাত খাবারই হোক না কেন একসময় সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর সেগুলিকে ফেলে দিতে হয়। তাইতো বাজার থেকে যে সমস্ত খাবার কেনা হয় তার নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে, সেই সময়ের মধ্যে খাবারগুলি খেতে হয়। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন মধু কখনো নষ্ট হয় না। দিন, মাস পেরিয়ে বছর হয়ে গেলেও মধু সেরকমই টাটকা থাকে।
তাইতো ঘরে যদি পুরনো কোনো মধু থাকে তাহলে নিশ্চিন্তে তা খেতে পারেন। এমনকি তার গুণগত মানেও কোনো প্রভাব পড়ে না। অবাক হচ্ছেন তো? আসুন তাহলে এর পেছনের কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। মধুতে চিনির উপাদান অনেক বেশি থাকে এবং খুব কম মাত্রায় থাকে জল।তাইতো মধু কখনো শুকিয়ে যায় না। এমনকি তাতে যদি কোনো জীবাণু সংক্রমণ করে সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে না। মধু যদিও খেতে মিষ্টি কিন্তু আসলে এর প্রকৃতি অ্যাসিডিক।
এর মধ্যে অনেক বেশি মাত্রায় থাকে গ্লুকোনিক অ্যাসিড। যেটি ব্যাকটেরিয়াকে বাড়তে দেয় না। মৌমাছি যখন ফুলের রস থেকে মকরন্দ তৈরি করে তখন তার মধ্যে গ্লুকোনিক অ্যাসিড ক্ষরিত হয়।এই নেকটারের মধ্যে গ্লুকোজ-অক্সাইড নামক একটি বিশেষ ধরনের উৎসেচক ক্ষরিত হয় যা শুধুমাত্র মৌমাছি করতে পারে।
এরপর মধুর মধ্যে হাইড্রোজেন-পারঅক্সাইড তৈরি হয় যা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। এবার হয়তো আপনি ভাবতে পারেন তাহলে বাজারজাত মধুর গায়ে কেন তারিখ উল্লেখ করা থাকে? আসলে জাতীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফ থেকে এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু আপনি তারিখ পেরিয়ে গেলেও সেই মধু ব্যবহার করতে পারেন।