ছ’হাজার বছর পর হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠল ভয়ঙ্কর সুন্দর বিশাল আগ্নেয়গিরি, মুহূর্তে ভাইরাল ভিডিও

আমাদের পৃথিবী যেন কোন শিল্পীর হাতে তৈরি এক আশ্চর্য শিল্পকলা! ভাবলে অবাক লাগে এই পৃথিবীর বুকে ভেতরে কতকিছু লুকিয়ে রয়েছে। কোথাও বরফ ঘেরা বিশাল পর্বত শৃঙ্গ আবার কোথায় পর্বতের ভূগর্ভে তরল ফুটন্ত লাভা।
মানব সভ্যতার দিক থেকে অনেক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে, ধীরে ধীরে এক্সপ্লোর করছে পৃথিবীর সমস্ত আশ্চর্য কে। প্রযুক্তির দ্বারা আজ মানুষ ঘরে বসেই চাঁদের অভ্যন্তর দেখতে পাচ্ছে, তবে কিছু জিনিস মানুষের চাক্ষুষ করা অসম্ভব যেমন, ফুটন্ত তরল লাভা যখন পর্বতের গা বেয়ে বেরিয়ে আসে তখন কেমন দেখতে লাগে! কিন্তু তরল আগুনের স্রোতের মাঝে গিয়ে কিভাবে দেখতে পারবে কেউ! তবে অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের এবার সেই সাধও পূরণ হলো।
ট্র্যাভেল ব্লগার বর্ন স্টেইনবেক সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, একটি ড্রোন উড়িয়ে বর্ন গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরলেন শিহরণ জাগানো এক ভিডিও।
বিগত প্রায় ৬ হাজার বছর পর আইসল্যান্ডের ফ্রাগরাদালস পাহাড়ে জেগে উঠেছে এক ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। বিস্ফোরণে খুলে গিয়েছে আগ্নেয়গিরির মুখ এবং ধীরে ধীরে পর্বতের গা বেয়ে নেমে এসেছে লাল ঔজ্জ্বল্য লাভার বন্যা। এই আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠা এতটাই সক্রিয় ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রেইকাভিক সীমান্তেও তার আভাস পাওয়া গিয়েছে। তবে আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দফতর তরফে জানানো হয়েছে এই আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠার ফলে তেমন কোনো বিপদের মুখোমুখি হয়নি স্থানীয় আদিবাসীরা,শুধুমাত্র কিছু পরিমাণ উত্তাপ বেড়েছে এবং ধোঁয়া ছড়িয়ে রয়েছে চারিদিকে।
আর এই ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্য টিকেই বর্ন স্টেইনবেক ড্রোন দ্বারা তুলে ধরেছেন গোটা বিশ্বের সামনে। ড্রোন দিয়ে ভিডিওটি করার কারণে যেন মনে হচ্ছে গলন্ত লাভার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছেন আপনি, ড্রোনটি যেতে-যেতে পৌঁছে যায় একেবারে গলন্ত লাভার উৎপত্তিস্থলে অর্থাৎ পর্বতের চূড়ায় যেখান থেকে ছিটকে ছিটকে পড়ছে আগুনের লসিকা।
বর্ন স্টেইনবেক ভিডিওটিকে আপলোড করার একদিনের মধ্যেই ভিউ এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২৬ হাজার এবং ৬৩ হাজার লাইকের সংখ্যা। নেট বিশ্বের মানুষ বর্ন কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ব দরবারে এমন সুন্দর একটি দৃশ্যকে তুলে ধরার জন্য।