করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের বিশ্বের অধিকাংশ দেশজুড়ে চলছে লকডাউন।এই কারণে বাধ্যতামূলকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরের সমস্ত স্টোর,শপিং মল, বাজারহাট সবকিছুই। কেবলমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনা ও ডেলিভারিতে ছিল ছাড়। এই নিয়মের সমস্ত মদের দোকানও একইভাবে লকডাউনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই দেশে মদ অতি জরুরি পণ্য হিসেবে বিবেচিত না হলেও সৌভাগ্যক্রমে হান্টিংটনে, নিউ ইয়র্কে বিয়ার কে একটি প্রয়োজনীয় পণ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই খবর টি পেয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন ওই দেশগুলির মদ্য ব্যবসায়ীরা।
নিউ ইয়র্কের এক দম্পতিকে কেকান ও মার্ক’এর একটি মদের দোকান ছিল। প্রথমে মদের দোকান বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে তারা ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়ে তাদের ব্যবসার ক্ষতির কথা ভেবে। পরবর্তীতে মদ কে জরুরি পণ্য হিসেবে ঘোষণা করতে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। একটি সাক্ষাত্কারে মার্ক বলেছিলেন “যখন দোকান বন্ধ রাখার খবর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল তখন আমরা খুবই ভেঙে পড়ে ছিলাম। আমরা কি দোকান খুলবো নাকি দোকান বন্ধ করে দিতে হবে, এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছিলাম না।”। এরপর ব্যবসা চালু রাখার অনুমতি পেলেও সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে দোকানে কোন কাস্টমারদের ভিড় জমতে দেওয়া কোনো ভাবেই যাবেনা।
এই পরিস্থিতিতে ওই দম্পতি একটি নতুন ধারণা নিয়ে আসে। ব্যবসা সচল রাখতে তারা তাদের দুটি গোল্ডেন রেট্রিভার কুকুরকে কাজে লাগায়। ওই কুকুর দুটিকে ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজে লাগান ওই মদ ব্যবসায়ী দম্পতি। কাস্টমাররা ফোনের মাধ্যমে তাদের অর্ডার দিলে ওই নতুন ডেলিভারি বয় কাস্টমারদের বাড়িতে পৌঁছে দেয় মদ। ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন তাদের দোকানের বিক্রয় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তবে ওই চার পায়ের কর্মচারীদের সাথে নিয়ে তাঁরা নতুন আশা খুঁজে চলেছে।