সালটা 2016, বাচ্চাটির বয়স 10 বছর কিন্তু ওজন 150 কেজি, এরকমই অদ্ভুদ একটা ঘটনার কথা জানতে পেরেছিলাম সেসময়। বাচ্চাটির নাম ছিল আর্য পারমানার। সবথেকে স্থূলকায় কিশোর হিসেবে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল সে। ছোটবেলায় স্বাভাবিক থাকলেও 2014 সাল থেকে ওজন বাড়তে শুরু করে আর্যর। সে জানিয়েছিল খেলতে ইচ্ছা করলেও সে খেলতে পারতোনা, ওঠাবসা, হাঁটাচলা সবেতেই তার কষ্ট হতো। কিন্তু নিজের ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রমে আবারো একবার সবার নজরে উঠে আসলো সে। এখন ইন্দোনেশিয়ার এই কিশোর 150 কেজি থেকে 87 কেজি ওজন ঝরিয়েছে। বিপুল পরিমাণ ওজন কমিয়ে ফের একবার বিশ্বের নজর কেড়েছে আর্য।
কিন্তু চার বছরের মধ্যে 87 কেজি ওজন ছড়ানোর পেছনে রহস্য কি! না কোনো অস্ত্রোপচারের সাহায্য নয় শুধুমাত্র ডায়েট আর ওয়ার্ক আউটে বাজিমাত করেছে সে। ইন্দোনেশিয়ার সরকার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল তার। মাত্র চার বছরে 87 কেজি ওজন কমিয়ে আর্য দেখিয়ে দিল ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ সব করতে পারে। পথটা এতটা সহজ ছিল না প্রথমে শুধুমাত্র উঠাবসা, পাঞ্চিং দিয়ে শুরু করেছিল। তারপর ধীরে ধীরে ওয়ার্কআউট বাড়িয়ে এই যুদ্ধ জয় করেছে সে।
তার প্রশিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে তিনি শুধুমাত্র সাহায্য করেছেন কিন্তু প্রকৃত কৃতিত্ব আর্যর নিজের, তার ইচ্ছাশক্তি ও মনের জোর ছিল বলেই এতটা ওজন কমাতে পেরেছে। এখন আর্য লোহাও তুলতে পারে ফুটবল খেলতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার এই কিশোর তার কঠিন অধ্যাবসায়ে নিজেকে প্রমাণ করেছে, তার লড়াই প্রচুর মানুষকে অনুপ্রেরনা জাগাবে।