আদালতে চলছিল শুনানি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খোরপোষ নিয়ে চলছিল মামলা। স্ত্রীকে খোরপোষ না দিয়ে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানায় স্বামী, আর এরপরই আদালতের এক ঐতিহাসিক রায়-মেয়েটা কি “শ্যাটেল”! শ্যাটেল কথার অর্থ দাসী বা বাদী।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করে চলেছিল স্বামী। স্বামীর কোথায় বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে জান স্ত্রী। এরপর ২০১৫ তে খরগোশের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। কুড়ি হাজার টাকা খরগোশ দেওয়ার আদেশ দেয় গোরক্ষপুর আদালত।
খোরপোষ এর দায় থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান ওই স্বামী। ব্যক্তি বলেন স্ত্রীকে সঙ্গে রাখতে চাই তাই খোরপোষ দেওয়ার দরকার কি আছে! ওই মহিলাকে স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামীর পক্ষের আইনজীবী, সেই সময়ই শীর্ষ আদালত জানায় ওই মহিলা কারো সম্পত্তি বা দাসী নয়, তিনি কোথায় যেতে চান সেটি সম্পূর্ণ ওই মহিলার ব্যক্তিগত ইচ্ছা।
গোরক্ষপুর শীর্ষ আদালতের এহেন রায়ে মহিলাদের সম্মান কিছুটা হলেও এগিয়ে গেছে। বর্তমানে যেখানে নারীবাদ কিংবা নারী ক্ষমতায়নের কথা মুখে মুখে সেখানে এখনও বেশ কিছু জায়গা প্রদীপের তলার মতনই অন্ধকার, যেখানে এখনও ঘরে স্ত্রীকে দাসি রুপে বিবেচনা করা হয়। তাই গোরক্ষপুর আদালতের এই রায়ের পর প্রশংসা উপচে পড়েছে।