জামাইষষ্ঠী কেন পালন করা হয়? এর পিছনের কাহিনী জানলে অবাক হবেন

কথায় আছে বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ! অর্থাৎ সারা বছর ধরেই কোনো না কোনো অনুষ্ঠান লেগে গেছে বাঙালীর পরিবারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো জামাইষষ্ঠী। জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় মূলত শাশুড়ি মায়েরা এই ব্রত পালন করেন। যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন নিয়ম মেনে জামাইষষ্ঠী পালন হয়ে আসছে বাঙালীর ঘরে ঘরে। তবে আপনি কি জানেন কীভাবে এই ব্রত পালন শুরু হয়েছিল?
আজ আমরা সেই সম্পর্কেই আলোচনা করবো এই প্রতিবেদনে। শোনা যায় ভারতবর্ষে নাকি একসময় এমন একটি সংস্কার প্রচলিত ছিল যেখানে কন্যা যতদিন না পুত্র সন্তানের জন্ম দেবে তার বাবা-মা তার বাড়িতে যেতেন না। তাই জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্ল ষষ্ঠীকে বেছে নেওয়া হয় জামাইষষ্ঠী হিসেবে। এই দিনেই মেয়ের মুখদর্শন হবে বলে আশা করে থাকতেন বাবা-মায়েরা।
পাশাপাশি আরও শোনা যায় যে এদিন মা ষষ্ঠীর পুজো করা হয় তাকে খুশি করার জন্য। যাতে মেয়ের কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান। বর্তমানে যদিও এই সংস্কারে পরিবর্তন হয়েছে। মা ষষ্ঠীর পুজো ও জামাই আদর মিলিয়ে এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে জামাইষষ্ঠী। এখন মূলত মেয়ে-জামাইকে ডেকে তাদের বিভিন্ন পদ রান্না করে খাওয়ানো এবং উপহার দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
এদিন নতুন বস্ত্র, ফল, উপহার, পান-সুপারি ইত্যাদি সহযোগে এই উৎসব পালিত হয়। মায়েরা সকাল থেকেই উপবাস করে থাকেন নিয়মরীতি পালনের জন্য। তবে বর্তমানে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এখন আবার অনেকে রেস্তোরাঁতে জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করে থাকেন। তবে যাই হোক না কেন মূলত মেয়ে-জামাইয়ের মঙ্গল কামনাই এই উৎসবের প্রধান লক্ষ্য।