নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

নদীয়া শান্তিপুরে জুয়ার ঠেক, মদের আসরের প্রতিবাদ করায় বাড়িতে দুষ্কৃতীদের তান্ডব, গুরুতর আহত বৃদ্ধ

সেই প্রতিবাদের প্রতিশোধ হিসেবে সন্ধ্যে ছটা নাগাদ প্রায় ৫০-৬০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে তাদের বাড়ির দরজা ভাঙতে উদ্যত হয়।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুর শহরের রাজপুত পাড়ার কুন্তল সিংহ রায়ের বাড়ির পেছনে তাদেরই পরিত্যক্ত বাঁশ বাগানে প্রায়ই বসে জুয়া এবং মদের আসর। গত নবমীর দিন ঠাকুমার পারোলৌকিকক্রিয়াকর্মদি সারার জন্য বাড়ির মহিলাদের পুকুরে নিয়ে যাবার জন্য পেছনের বাঁশ বাগানের মধ্যে দিয়ে যেতে গিয়ে দেখেন সেখানে তিন চার জায়গায় বসেছে আসর।

প্রতিবাদ করলে সাময়িকভাবে তারা চলে যান। আর সেই প্রতিবাদের প্রতিশোধ হিসেবে সন্ধ্যে ছটা নাগাদ প্রায় ৫০-৬০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে তাদের বাড়ির দরজা ভাঙতে উদ্যত হয়। পরিচিত বন্ধুবান্ধব থানা এবং পাশের বাড়ির প্রতিবেশী কাকা চঞ্চল সিংহ রায় কে খবর দেন। চঞ্চল বাবু এবং সিংহ রায় বাড়ির দুই-একজন বাধা দিতে গেলে বেধড়ক মারা হয় তাদের। ৫৫ বছর বয়স্ক চঞ্চল বাবুর মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত করে, এবং পায়ের হাড় তিন টুকরো হয়ে যায় বলে শান্তিপুর থানায় অভিযোগ করেন কুন্তল সিংহরায়।

আগতদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে দুজনের নামে অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় জয় কুমার বিশ্বাস এবং বিজয় কুমার বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে ওই দিন। পরবর্তীতে আরও ২২ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন বলে জানান কুন্তল বাবু।
এলাকায় সূত্রে জানা যায় ওই এলাকায় পূজাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাঁধে নবমীর বিকালে। অন্য পক্ষের ও ১৫ জন আহত হয় যার মধ্যে একজন গুরুতর আহত।

১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার বিভাস ঘোষ এ প্রসঙ্গে জানান, নতুনহাট অঞ্চলে এর আগেও একাধিকবার জুয়ার বোর্ড প্রশাসনের সহযোগিতায় তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে! তবে কুন্তল বাবুর বাঁশবাগানে নিয়মিত জুয়ার আসর বসে বলে তার জানা নেই. তবে আমি যেটুকু শুনেছি দুইপক্ষের  মধ্যে মারামারি হয়েছে, দু’পক্ষেরই কমবেশি আহত হয়েছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও হয়েছে শান্তিপুর থানায়। প্রশাসন এর উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে উপযুক্ত দোষীদের শাস্তির দাবি করি।

অন্যদিকে প্রশাসনিক সবরকম সহযোগিতা পেলেও সিংহ রায় বাড়ির মহিলা এবং শিশুরা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলেই জানান তারা। বিশেষ সূত্রে জানা যায় সারা শান্তিপুর ব্যাপী মদের আসর এবং জুয়োর ঠেক প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে তুলে দেওয়ার জন্য সোচ্চার হয়েছেন শান্তিপুর নাগরিক কমিটি।

Related Articles