নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

নদীয়ার শান্তিপুরে হাট বসাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেও মেলেনি সমাধান

অন্যদিকে অস্থায়ী দোকানদারদের পক্ষ থেকে জানানো হয় আজ ১০ বছর ধরে কোনোরকম আপত্তি ছিল না! এমনিতেই সমস্ত উপার্জন বন্ধ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সকলে।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:-নদীয়া জেলার শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন, গোডাউন মাঠে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বসে আসছে হাট। যদিও এটি এফসিআইয়ের মাঠই গোডাউন মাঠ হিসাবে পরিচিত। এই মাঠ সংলগ্ন শান্তিপুর নীলমণি কাপড়ের হাট এবং বেশকিছু দোকান হওয়ায় ওই এলাকা সহ সমগ্র শান্তিপুর এমনকি নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বেশ কিছু কর্মহীন যুবক বস্ত্রব্যবসায়ী উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পেরেছে।

ওই এলাকার সংলগ্ন সাথী পল্লীর বেশকিছু মহিলা, শিশু সহ পুরুষ অধিবাসীবৃন্দ একটানা লকডাউন উঠে যাবার পর থেকে জোরালো দাবি শনি এবং বুধবার সারাদিন হাট চলার ফলে পুকুরে যাওয়া, মূল রাস্তায় ওঠা, বাজারে যাওয়া এমনকি অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য যানবাহন ঢুকতে অসুবিধার সৃষ্টি করে। তাই বারণ করা সত্ত্বেও আজ পুনরায় হাট বসতে গেলে বাধা দেয় তারা বাঁধে বচসা। শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি হয়। তাদের পক্ষ থেকে মায়া বিশ্বাস ডলি বিশ্বাসকে পুলিশের সামনে মারধর করে মাঠের অস্থায়ী দোকানদাররা।

অন্যদিকে অস্থায়ী দোকানদারদের পক্ষ থেকে জানানো হয় আজ ১০ বছর ধরে কোনোরকম আপত্তি ছিল না! এমনিতেই সমস্ত উপার্জন বন্ধ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সকলে। তারমধ্যে হঠাৎ করে প্রায় ২০০ জন  অস্থায়ী দোকানদারদের পরিবারের পেটের ভাত কেড়ে নেওয়া, কোন মানবিকতার মধ্যে পড়ে? এই মর্মে এসডিপিও এবং এস ডি ও কে একটি লিখিত আবেদন করলে তারা মৌখিক সম্মতি দেন ।

কিন্তু কয়েকদিন আগে এক হাটবারের দিন সকালে দোকান বসাতে গিয়ে খেয়াল করেন চারটি তরতাজা বোমা! শান্তিপুর থানার প্রশাসন উদ্ধার করে এবং ওই দিন বিকালে এসডিপিও এবং এস ডি ও দু’পক্ষকে ডেকে মাঠে মধ্য দিয়ে যাওয়ার রাস্তা রেখে, হাটের শেষে পরিষ্কার করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বিষয়টি সাময়িক মীমাংসা করেন। কিন্তু আজ সকালে আবারো বাধা আসে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। অস্থায়ী হাট ব্যবসায়ীদের পক্ষে চন্দনা অধিকারী, অর্চনা রায়চৌধুরীকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মারা হয় বলে দাবি করেন তারা। ঘটনাস্থলে যথেষ্ট উত্তেজনার কারণে শান্তিপুর থানার পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়।

Related Articles