নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

ব্যবসায়িক হাল ফেরাতে তাঁতের শাড়িতেও ‘করোনা বুটি’, তবু লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না তাঁতশিল্পীরা

কিন্তু বর্তমান করোনা আবহে দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাট এবং গন পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় বেহাল দশা শাড়ি ব্যবসায়ীদের।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- নদীয়া জেলার প্রায় ৬৫ শতাংশ তাঁত শিল্পী বয়ন শিল্পের সাথে জড়িত। লুঙ্গি গামছা বোনা তাঁতি থাকলেও বেশিরভাগই উৎপাদন করেন শাড়ি। যা রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের সর্বত্র সুনামের সঙ্গে খ্যাতির শিখরে। কিন্তু বর্তমান করোনা আবহে দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাট এবং গন পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় বেহাল দশা শাড়ি ব্যবসায়ীদের।

তাই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু তাঁত শিল্পী। সরকারি বিধিব্যবস্থা কিছুটা থাকলেও তা পরিমাণের তুলনায় যৎসামান্য। তবে হস্তচালিত তাঁতই হোক আর যন্ত্রচালিত আধুনিক ইন্টারনেট ব্যবস্থা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে খানিকটা অনলাইন ব্যবসা চালু থাকলেও সাবেকি তাঁত ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে অজ্ঞ হওয়ার কারণে এখনো অথৈ জলে। কিন্তু কথায় আছে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে! দীর্ঘ অভিজ্ঞতার নিশ্চয়ই একটা দাম আছে।

তাই শান্তিপুর সূত্রাগড় অঞ্চলের অরুণ ঘোষ এলাকায় পরিচিত লেনো ঘোষ বলে, সুচতুর ব্যবসায়িক কৌশল ফাদলেছেন তাঁতের শাড়িতে। তাঁত শাড়ির বুটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন করোনার প্রতীক চিহ্নটি সাথে লেখা দুই হাজার কুড়ি। যাতে অভিনবত্ব খোঁজা ক্রেতা আকৃষ্ট হন এই শাড়ির প্রতি। কিন্তু তিনি জানান বেশ কিছু বছর আগে কলকাতা ৩০০বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ ভাবে তৈরি তাঁত শাড়িতে শুধু তিনি নন শান্তিপুরের তাঁত শাড়ি প্রস্তুতকারক ব্যবসায়িক সুফল পেয়েছিলেন প্রায় প্রত্যেকেই।

তবে এ বছর আমার এই করোনা বুটি শাড়ি ৩ মাস আগে ৬০০ পিস তৈরি করলেও বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০০ পিস। তাই হয়তো করোনার কাছে হার মানতে বাধ্য হচ্ছে তার বুদ্ধিমত্তা অভিজ্ঞতা পরিশ্রম!”

Related Articles