নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

নদীয়ার শান্তিপুরে আটকে থাকা জাহাজ কর্মচারীদের উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্বকর্মা পূজা

শহরের এক প্রান্তে গঙ্গাবক্ষে আটকে থাকা আটটি জাহাজের প্রায় ৭০ জন সদস্য একঘেয়েমি কাটাতে মাতুলেন বিশ্বকর্মা পুজোয়।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- এ এক অন্য অভিজ্ঞতা! নদীয়ার শান্তিপুর শহরের মাঝে প্রতিমা, প্যান্ডেলের আকার আকৃতি বা সময়ের বিচারে কে পুরাতন! কে নতুন! এই নিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোর ঠান্ডা লড়াইয়ের মেতেছেন পুজো কমিটিগুলি। ঠিক সেই সময় শহরের এক প্রান্তে গঙ্গাবক্ষে আটকে থাকা আটটি জাহাজের প্রায় ৭০ জন সদস্য একঘেয়েমি কাটাতে মাতুলেন বিশ্বকর্মা পুজোয়। গত বছরেও জলপথে আজকের দিনে আসামের গোহাটিতে এই জাহাজে পালিত হয়েছিল বিশ্বকর্মা পুজো।

জলপথের যে প্রান্তেই দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন পাটনা, নয়ডা, গোহাটি, কলকাতা, কোচিন যেখানেই হোক সহদেব রানু, করিম মল্লিক, তপন সিনহা, সাহজাদ আলি, পিটার গোমস, বিকাশ চক্রবর্তীদের মতো বেশকিছু মানুষ কাজের গুরুত্ব রাজ্য , ভাষা , জাতি, ধর্মর থেকেও বড়। !ঠিক সেই মানসিকতা নিয়েই কর্মসূত্রে এর সাথেই লকডাউনেও দীর্ঘদিন জলপথে কাটাতে হয়েছে সহকর্মীদের নিয়েই, তাই পরিবারের থেকেও আপন হয়ে উঠেছে নিজেরা। এমনকি সামনে পেছনের আটকে থাকা জাহাজের কর্মচারীদের সাথেও।

গতকাল সকলে মিলে ছেলেবেলার মত হঠাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্যান্ডেল, ঠাকুর আনা, ভোগ প্রসাদ রান্না, রান্নার জোগাড় সকলেই হাতে হাত লাগিয়ে করে ফেলেছে। দীর্ঘদিন আটকে থাকার মধ্যেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানতে পেরেছে শান্তিপুরের কাছাকাছি দুরসম্পর্কের হয়তো এক নিকট আত্মীয় থাকেন! দুরের আত্মীয় হলেও লকডাউনের প্রথমদিকে অচেনা জায়গায় সহযোগিতা করেছিলেন তারাও। আজ পুজোয় আমন্ত্রিত হয়েছেন এই রকমও কিছু আত্মীয়। রক্তের কেউ নন অথচ সম্পর্কে তার থেকেও বেশি আপন হয়ে উঠেছে শান্তিপুরের কিছু মানুষ আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তারাও।

তবে মোবাইলের কল্যাণে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বা রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন প্রান্তে নিজস্ব বাড়ির পরিবারের সদস্যদের খুশি ভাগ করে নিতে দেখা গেল তাদের। কর্মঠ এই বিশ্বকর্মা দের সমস্ত দুঃখ মনে আসে কাজ না থাকলে, তাই বিশ্বকর্মা কাছে সকলের কাতর প্রার্থনা, বাজুক জাহাজের সাইরেন চলুক এগিয়ে দেশের দশের কাজে। দূর হোক করোনা, স্বাভাবিক হোক সকলে।

Related Articles