নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের বিজেপির সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে পথে নামলেন দলীয় কর্মীরা
নবদ্বীপ ,তেহট্টো, কৃষ্ণনগরের এরকম বেশকিছু সমর্থক হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে একত্রিত হয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বিষয়টি জানাবেন বলে।
মলয় দে নদীয়া:- আজ বন্ধের সমর্থনে বাম ও কংগ্রেস সদস্যদের পদযাত্রা সাইকেল মিছিলে উত্তাল নদীয়ার বিভিন্ন এলাকা। তারই মধ্যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আগমনে রাজনৈতিক পারদ চড়েছে অনেকটাই। আসাননগর এবং কুপার্স ক্যাম্পে বিজেপির সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি সমর্থক সদস্যদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
কৃষ্ণনগরের হাইস্ট্রীটের উপর অবস্থিত বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সকলেই জমায়েত হয়েছিলেন। নবদ্বীপ ,তেহট্টো, কৃষ্ণনগরের এরকম বেশকিছু সমর্থক হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে একত্রিত হয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বিষয়টি জানাবেন বলে। দলীয় কার্যালয়ে থাকা জেলা সভাপতি আশু পালের অনুগামীদের সাথে তাদের বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে নদীয়া জেলা মহিলা মোর্চা সভানেত্রী শামলী রায় জানান “আশু পাল এবং আরেক নেতৃত্ব অর্জুন বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া মৈত্রর কাছ থেকে টাকা নিয়ে দলের অযোগ্যদের মন্ডল সভাপতি বানিয়েছেন।
যে বিজেপি দল লোকসভা ভোটে বিজেপিকে লিড দিয়েছে, সেই বিজেপি দলের অবস্থা বর্তমান শোচনীয় করে ছেড়েছেন এই অযোগ্য সভাপতি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বহু পঞ্চায়েত সিট হাতছাড়া হয়েছে শুধুমাত্র তাঁরই কারণে। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে তা রাজ্য সভাপতিকেই জানাতে হয়। কিন্তু ওই দুই ব্যক্তি এবং তাদের অনুগামীরা আমাদের বঞ্চিত রেখেছে!
তিনি আরও বলেন, অথচ আমরাই অতীতে এলাকায় বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী করেছি।” সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় বিক্ষোভকারীরা আসাননগরে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সান্নিধ্যে আসতে পারেননি। তারা রানাঘাটের কুপার্স ক্যাম্প যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।