নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

করোনা কালেও থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রাণ বাঁচাতে রক্ত দিলেন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের এক দম্পতি

খবর পাওয়া মাত্রই এগিয়ে আসেন কৃষ্ণনগরের রাধানগরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুদীপ সরকার ও তাঁর স্ত্রী পৌলমী ঘোষ।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে,নদীয়া : সারাদেশ জুড়ে চলছে করোনা সংক্রমণ । করোনা অবহে রাজ্য তথা দেশের অধিকাংশ ব্লাডব্যাংক প্রায় রক্তশূন্য। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সারাবছর ধরে নির্দিষ্ট সময়ে যে সমস্ত রোগীদের রক্ত লাগে বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী তারাও বতর্মানে রক্ত জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে । মুমূর্ষ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রাজ্য জুড়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের জন্য রক্ত জোগাড়ের কাজ করে যাচ্ছে এমার্জেন্সি ব্লাড সার্ভিসেস বা ই বি এস নামে সেবামূলক সংগঠন।

গতকাল নদীয়ার দেবগ্রাম এর ইফানূর খাতুন বয়স ৬ ও মৌসুমী হালদার বয়স ১৩, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের রক্তের প্রয়োজন হয়। ব্লাড ব্যাংক রক্তের মজুত না থাকায় খবর পায় ইবিএস এর সদস্যরা। খোঁজ শুরু হয় রক্তের ডোনারের। খবর পাওয়া মাত্রই এগিয়ে আসেন কৃষ্ণনগরের রাধানগরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুদীপ সরকার ও তাঁর স্ত্রী পৌলমী ঘোষ। দুজনে হাজির হন শক্তিনগর ব্লাড ব্যাংকে এবং দুজনেই রক্তদান করেন।

উল্লেখযোগ্য বিষয় বতর্মানের এই করোনাকালীন পরিস্থিতিতে গতকালও এই সংগঠনের সদস্যবৃন্দ নয় জন রোগীর রক্ত জোগাড় করে দিয়েছেন ডোনার বা রক্তের কার্ডের মাধ্যমে । অসময়ে রক্ত পেয়ে খুশী রোগীর পরিবারের সদস্যবৃন্দ। গ্রুপের সভাপতি ওসমান গনি খান জানান – মানুষের পাশে এইভাবে থাকতে পেরে ওনারা খুব খুশি, এভাবেই ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস গ্রুপ সবার পাশে থাকতে চায়। মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে বদ্ধপরিকর ইবিএস।

রক্তদান প্রসঙ্গে সুদীপ সরকার ও পৌলমী ঘোষ জানান “এটা তেমন কিছু নয়, সেবাই পরম ধর্ম । সারাজীবন এভাবেই মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই “।

Related Articles